মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র মেরামত কাজের প্রত্যয়ন প্রত্র নিতে উৎকোচ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ সুলতান হোসেনের বিরুদ্ধে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির যুগ্ন-সম্পাদক ও প্রধান শিক্ষক মোঃ মোশররফ হোসেন এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। 

অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার মধ্যে আমড়াগাছিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র মেরামতের জন্য ১ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়। কাজ তদারকি করেন উপজেলা সরকারি প্রকৌশলী মোঃ শহিদুল ইসলাম এবং কাজে সন্তুষ্টি হয়ে তিনি প্রত্যায়ন দিয়ে দেন। কিন্তু উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ সুলতান হোসেন চুড়ান্ত প্রত্যায়ন পত্র বাবদ ১০ হাজার টাকা উৎকোচ দাবী করেন। প্রধান শিক্ষক মোঃ মোশাররফ হোসেন প্রত্যায়ন পাওয়ার জন্য কিছু টাকা দিলেও উপজেলা প্রকৌশলী মাসের পর মাস ঘুরাতে থাকেন।

এমনকি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা প্রাথমিক অফিসার বিষয়টি অবগত থাকলেও তাদেরকে তোয়াক্কা না করে উৎকোচ দাবী করেন তিনি।

এ অভিযোগের ভিত্তিত্বে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পটুয়াখালী এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীকে বিষয়টি অবগত করেন। এঘটনার পরে গতকাল রবিবার দুপুরে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির যুগ্ন-সম্পাদক ও প্রধান শিক্ষক মোঃ মোশররফ হোসেনসহ অন্য শিক্ষক নেতারা উপজেলা প্রকৌশলীর কাছে প্রত্যায়ন পত্র নিতে আসলে তিনি বাকী উৎকোচ দাবী করেন।

প্রধান শিক্ষক উৎকোচের পুরো টাকা দিতে অস্বীকার করলে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। শেষে শিক্ষক নেতারা প্রত্যায়ন পত্র না পেয়ে খালি হাতে চলে যান।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ সুলতান হোসেন বলেন, উপজেলার মধ্যে অনেক স্কুল রয়েছে আমার ব্যাপারে কোন অভিযোগ নেই এবং প্রত্যায়ন পত্র দিয়ে উৎকোচ নেয়ার প্রশ্ন উঠে না। তবে শিক্ষক নেতাদের সাথে একটু ঝামেলা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ্ ম্হোম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, উৎকোচের ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি এবং বিষয়টি পটুয়াখালী এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীকে অবহিত করা হয়েছে।

(ইউজি/এসপি/জুলাই, ২৯, ২০১৮)