জোটন চন্দ্র ঘোষ, হালুয়াঘাট : হালুয়াঘাটের শাকুয়াই ইউনিয়নের ফনীয়া গ্রামে ২৯ জুলাই সকালে পতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজের ঘরে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। উক্ত ঘটনাটিকে স্থানীয় একটি কুচক্রী মহল ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করার ষড়যন্ত্র করছেন বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন।

সরেজমিনে প্রতিবেশী উষা রানী, প্রবাসী রানীসহ স্থানীয়রা জানায়, ফনীয়া গ্রামের জহুর উদ্দিনের পুত্র লাল মিঞা ও সাবেক ইউপি সদস্য বাবুল এবং তার পুত্র সুহাগ একই গ্রামের সুধারঞ্জন বর্মন এর নিকট থেকে ৪০ শতাংশ জমি ক্রয় করে আমন ধান চাষাবাদের জন্য ঘটনারদিন সকালে জমিতে চারা রোপনের জন্য প্রবেশ করলে ফনীয়া গ্রামের পতিপক্ষ চিত্তরঞ্জন বর্মন, মনোরঞ্জন বর্মন ও বলাই চন্দ্র বর্মন সহ কতিপয় ভারাটে ব্যক্তিগণ লাল মিঞাগংদের উপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন।

ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করার লক্ষ্যে চিত্ত রঞ্জন গংদের লোকজন নিজেদের রান্না ঘরে আগুন লাগিয়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ঘরে আগুন দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে লোকসমাজে ব্যাপক বৃস্তিতি ছড়ানোর চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন। পাশাপাশি স্থানীয় একটি কুচক্রী মহল ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করার লক্ষ্যে ইন্ধন প্রদান করছেন। স্থানীয় প্রসাশনকে প্রভাবিত করতে কুচক্রী মহলটি উঠে পড়ে লেগেছে বলে জানান।

আহত সাবেক ইউপি সদস্য বাবুল বলেন, তিনি গত বছর সুধারঞ্জন বর্মন এর নিকট থেকে ৪০ শতাংশ জমি সাবকাওলা দলিল মূলে ক্রয় করে নিজ নামে জমা খারিজা করেন। উক্ত জমিতে গত বছর বোর আবাদ করেছেন। ঘটনারদিন আমন ধান রোপনের জন্য মাঠে গেলে উক্ত ব্যক্তিগণ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজিত হয়ে তাদের উপর হামলা চালিয়ে তাদের তিনজনকে রক্তাক্ত জখম করেন।

বর্তমানে লাল মিঞা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। পিতা পুত্র দুজন উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভর্তি রয়েছেন। স্থানীয় আব্দুল গফুর ও আব্দুল মালেকের হুকুমে উক্ত ব্যক্তিগণ হামলা করেন । এ ঘটনায় তিনি হালুয়াঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বলে জানান।

এ বিষয়ে চিত্তরঞ্জন গং বলেন, উক্ত জমিটি তাদের পৈত্রিক সম্পতি তাই তারা আমন চাষাবাদে বাঁধা প্রদান করেন।

এ বিষয়ে হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম তালুকদার বলেন, তিনি ঘটনাটি শুনেছেন পাশাপাশি একটি অভিযোগ পেয়েছেন তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানান।

(জেসিজি/এসপি/জুলাই ৩০, ২০১৮)