রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙা ইউনিয়নের তুজুলপুর হাইস্কুল মাঠে সার্কাসের অনুমোদন নিয়ে প্রশাসেনর সহায়তায় রক্তচোষা রমরমা জুয়ার আসর চলে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ১৭ জুলাই জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে নেওয়া ১২ দিনের সার্কাসের অনুমতির মেয়াদ গত ২৮ জুলাই শেষ হলেও সোমবারও তা চলেছে সগৌরবে। উপরন্তু আবহাওয়া ভাল থাকায় সন্ধ্যা থেকে জুয়ার বোর্ডে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

তুজুলপুর গ্রামের আফতাব, সামছুর রহমান, কালুসহ কয়েকজন জানান, তুজুলপুর কৃষি ক্লাবের আয়োজনে তুজুলপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে গত ১৭ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে ‘দি বাংলাদেশ গোল্ড সার্কাস’। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্কাস চালানোর জন্য ১২ দিনের অনুমতি গত ২৮ জুলাই শেষ হয়েছে। এরপরও সার্কাসের পাশাপাশি সোমবার রাতেও চলছে ক্যাসিনো (চরকি) ও ওয়ান টেন। তবে সার্কাস আয়োজনের অনুমতি থেকে প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ পর্যন্ত সার্বিক ব্যবস্থাপনায় কলারোয়ার ক্ষেত্রপাড়ার জনৈক মোশাররফ হোসেন সোমবার পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তিনি ইতিপূর্বে কলারোয়ায় পুতুল নাচের নামে নগ্ননৃত্য ও জুয়ার আসর বসিয়ে হাত পাকিয়েছেন বলে একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়।

জুয়ার বোর্ড চালানোর বিষয়টি এলাকাবাসি ও সাংবাদিকদের মাধ্যমে গত ২৫ জুলাই মঙ্গলবার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান ও সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমানকে অবহিত করা হলে তারা খেলা বন্ধের কোন উদ্যোগ না নেওয়ার বিষয়টি স্থানীয় কয়েকটি পত্রিকায় ছাপা হয়। ফলে আয়োজক কমিটির সভাপতি স্থানীয় কৃষি ক্লাবের সভাপতি ইয়ারব হোসেন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতির ভাইপো রানাসহ তাদের সহযোগীরা ২৬ জুলাই সন্ধ্যা থেকে থেকে আরো ব্যাপক আকারে জুয়ার বোর্ড চালু রাখেন। জুয়ার বোর্ড চালানোর জন্য এলআর ফাল্ড, পুলিশ ফাণ্ড, সাংবাদিক ফাণ্ড, ক্ষমতাসীন দলের নেতা ফাল্ডসহ বিভিন্ন স্থানে বিনিয়োগ করে খেলা বন্ধ করার কোন প্রশ্নই আসে না বলে ওই চক্রটি প্রকাশ্যে বলে বেড়াচ্ছে। এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন তুজুলপুর মাধমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি আলী হোসেন, শিক্ষার্থী ও সুশীল সমজের নেতৃবৃন্দ।

তবে সার্কাস আয়োজক কমিটির আহবায়ক ও তুজুলপুর কৃষি ক্লাবের সভাপতি ইয়ারব হোসেন জানান, বৃষ্টিতে কয়েকদিন মার হয়ে যাওয়ায় সেটা পুষিয়ে নিতে মঙ্গলবার পর্যন্ত সার্কাস চলবে। এরসঙ্গে একটু আধটু খেলাধুলা------------

তবে এ প্রতিবেদক সোমবার রাত ৮টার দিকে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।

(আরকে/এসপি/জুলাই ৩১, ২০১৮)