স্টাফ রিপোর্টার : সড়ক দুর্ঘটনা রোধে যানবাহনগুলোর অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক ফিটনেস জরিপ করার জন্য স্বাধীন ও নিরপেক্ষ জাতীয় কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। স্বরাষ্ট্র সচিব, সড়ক পরিবহন সচিব ও বিআরটিএর চেয়ারম্যানসহ ১৫ সদস্যের কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এই আদেশ দেন। আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট তানভীর আহমেদ। তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ।

এর আগে গত ২৭ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানভীর আহমেদ জনস্বার্থে রিটটি দায়ের করেন। বিষয়টি সোমবার ও মঙ্গলবার পর পর দুদিন শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

রিট দায়েরকারী তানভীর আহমেদ বলেন, রাজধানীতে চলাচলরত যানবাহনের অধিকাংশরই লুকিং গ্লাস, ব্রেক লাইট ও সিগন্যাল লাইট নেই। থাকলেও সেগুলো কাজ করে না। এমনকি অনেক যানবাহনের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক ফিটনেসও নেই।

‘ফিটনেসবিহীন এসব যানবাহনের কারণে যেখানে-সেখানে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে। এ অবস্থায় সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে রিটটি করা হয়েছে।’

দেশজুড়ে প্রতিনিয়ত একের পর এক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটতেই আছে। রোববার রাজধানীর র‌্যাডিসন হোটেলের উল্টো দিকে কুর্মিটোলা ফ্লাইওভারের ঢালে দুই বাসের রেষারেষিতে নিহত হন দুই শিক্ষার্থী। তারা হলেন- শহীদ রমিজ উদ্দীন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম ওরফে রাজীব (১৭) এবং একই কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম ওরফে মিম (১৬)।

একই উড়ালসেতু থেকে নামার সময় গত ১ জুলাই বসুমতি পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের চাপায় নিহত হন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র শাহরিয়ার সৌরভ। এর একদিন পর, গত ২ জুলাই মিরপুরে দিশারী পরিবহনের একটি বাসের চাপায় নিহত হন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সৈয়দ মাসুদ রানা।

এর আগে, ১৬ এপ্রিল দুই বাসের রেষারেষিতে তিতুমীর কলেজের ছাত্র রাজীব হোসেন হাত হারান, পরে তিনি মারা যান। ১৭ মে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে দুই বাসের রেষারেষিতে আহত হওয়ার পর প্রাণ হারান একটি অনলাইন গণমাধ্যমের কর্মকর্তা নাজিমউদ্দীন। এভাবে বাসের বেপরোয়া গতির কারণে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মিছিল বেড়েই চলছে।

(ওএস/এসপি/জুলাই ৩১, ২০১৮)