বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার মো. মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। ঘুষের টাকা ফেরত ও ন্যায় বিচারের দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ইউনুস আলী বিশ্বাস।

বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কাছে দেয়া অভিযোগে জানা গেছে, মোল্লাহাট উপজেলার চরকান্দি গ্রামের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা নজীর বিশ্বাসের ছেলে ইউনুস আলী বিশ্বাস তার মা মারা যাওয়ার পর সৎ মা হামিদা বেগম পিতার মুক্তিযোদ্ধা ভাতা উত্তোলন করেন।

পরে ইউনুস আলী বিশ্বাস তার সৎ মায়েল কাছে বার বার ভাতার টাকা দাবি করলেও, সৎ মা ইউনুসের নায্য পাওনা দেয়নি। এর প্রেক্ষিতে নিজের প্রাপ্য পেতে মোল্লাহাট উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমানের কাছে আবেদন করেন ইউনুস।

এক পর্যায়ে ইউনুস আলী গং ও তার সৎ মা গং-এর নামে সোনালী ব্যাংক লিঃ, মোল্লাহাট শাখায় একটি যৌথ হিসাব খোলা হয়। ঐ হিসাব থেকে চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারী ভাতার অংশ হিসেবে ১৫ হাজার টাকা উত্তোলন করেন ইউনুস আলী বিশ্বাস। ঐদিনই মোল্লাহাট উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ইউনুস আলীকে ডেকে নিয়ে ১০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। ইউনুস বাধ্য হয়ে সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমানকে ৬ হাজার টাকা প্রদান করেন। ইউনুস ও তার ভাইবোনরা ৯ হাজার টাকা ভাগ করে নেন।

ইউনুস আলী বিশ্বাস জানান, আমি একবার মাত্র আমার নায্য প্রাপ্য উত্তোলন করেছি। কিন্তু পরে সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ মাহবুবুর রহমান আমার সৎ মায়ের কাছ থেকে টাকা পয়সা গ্রহন করে তার নামে ভাতা উত্তোলনের বই তৈরি করে দেন। এখন আমি আর আমার পিতার সন্তান হিসেবে ভাতা উত্তোলন করতে পারছি না। আমি আমার নায্য দাবি চাই।

মোল্লাহাট সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান ঘুষ গ্রহণের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ইউনুস আলীর কাছ থেকে আমি কোন প্রকার ঘুষ গ্রহন করিনি।

সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কানিজ মোস্তফা বলেন বিষয়টি সম্পর্কে আমার জানা নেই। তবে বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে সত্যতা পেলে ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেনে এ কর্মকর্তা।

(এসএকে/এসপি/আগস্ট ০৮, ২০১৮)