সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) : যানবাহনের লাইসেন্স বা ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলেও রাস্তায় অবাধে চলত সিএনজি চালিত অটো রিকশা। অনিয়ম ও কাগজপত্রের ত্রুটিবিচ্ছুতি থাকলেও মাসোহারা দিয়েই নিয়মিত চালাত চালকেরা। কিন্তু ট্রাফিক সপ্তাহ শুরু হলে বেকায়দায় পরে যান সিএনজি চালিত অটো রিকশা চালকেরা।

ট্রাফিক সপ্তাহ উপলক্ষে কেন্দুয়া উপজেলার বাসষ্টেন্ড, সাহিতপুর, রামপুর, আদমপুর সহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বুধবার বিকেল পর্যন্ত ৪ দিনে মোটর যান আইনে ১৫টি যানবাহনের বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

কেন্দুয়া থানা পুলিশের এস.আই ছামেদুল হক জানান, ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং যানবাহনের লাইসেন্স না থাকা সহ বিভিন্ন অনিয়মের কারণে ৪ দিনে ১৫ টি যানবাহনের বিরুদ্ধে মোটরযান আইনে ১৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ বাদী হয়ে এসব মামলা দায়ের করে। একই সঙ্গে ৮জনকে আটকও করা হয়েছে। ট্রাফিক সপ্তাহ উপলক্ষে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করার ফলে সিএনজি চালিত অধিকাংশ অটো রিকসা চালকেরা রাস্তা ছেড়ে বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। ফলে যাত্রীদের সীমাহীন দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। রাস্তায় অল্প সংখ্যক যানবাহন চলাচল করলেও চালকেরা নানান অযুহাতে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে নিচ্ছে। এতদিন রাস্তায় অনেক শিশুরাও যাদের বয়স ১২ থেকে ১৩ বছর তারাও সিএনজি চালিত অটো রিকশার চালক হয়ে বেপরোয়া যানবাহন চালিয়ে অনেক দূর্ঘটনা ঘটিয়ে নিজেও আহত হয়েছে, যাত্রীরাও হতাহত হয়েছে। এবার ট্রাফিক সপ্তাহ শুরু হলে এসব চালকেরা গাঁ ঢাকা দেয়িছে। বুধবার বিকেলে কেন্দুয়া বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় গিয়ে দেখা যায় যেখানে অটো রিকসা থাকতো ২০/২৫ টি সেখানে আছে মাত্র ৪/৫ টি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সিএনজি চালক বলেন, শতকরা ৮০টি অটো রিকসা (সি.এন.জির) লাইসেন্স নেই। চালকদেরও নেই ড্রাইভিং লাইসেন্স।

তাহলে এতদিন কিভাবে রাস্তায় চলতেন? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিভিন্ন স্থানে মাসোহারা দিয়েই আমরা রাস্তায় গাড়ি চালাই। তবে হঠাৎ করে এমন কঠিন আইন করলে আমরা কেমন করে চলব। তিনি ড্রাইভিং লাইসেন্স ও অটো রিকসা লাইসেন্স সহজ করার দাবী জানান। পাশাপাশি প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা গ্রহণ সহ মাসোহারা বন্ধ করারও দাবি জানান।

(এসবি/এসপি/আগস্ট ০৮, ২০১৮)