রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি : নওগাঁর রাণীনগরে ব্রিটিশ আমলে চুন আর ইট-শুরকির মিশ্রন দিয়ে নির্মিত ঐতিহ্যবাহী শতবছর বয়সী হাতিরপুল ব্রিজটির একটি অংশ দেবে গিয়ে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়। এই সংবাদটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর কর্তৃপক্ষ কিছুটা দায়সারানো সংস্কারের কাজ করলেও ব্রিজটি এখনো ঝুঁকিপূর্ণ বলে দাবি করছেন স্থানীয়রা। এখনো যে কোন মুহুর্তে ব্রিজটি ভেঙ্গে গিয়ে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। যদি এই ব্রিজটি ধসে পড়ে যায় তাহলে রাণীনগর থেকে আবাদপুকুরসহ উপজেলার পূর্ব অঞ্চলে যাওয়ার একমাত্র ব্যস্ততম পথ চলাচলের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে। 

জানা গেছে, রাণীনগর উপজেলা সদর হতে দুই কিলোমিটার দূরে ব্যস্ততম আবাদপুকুর-রাণীনগর মহাসড়কের রতনডারি খালের উপর ব্রিটিশ শাসন আমলে চুন আর ইট-শুরকির মিশ্রন দিয়ে নির্মাণ করা হয় শতবছর বয়সী এই ঐতিহ্যবাহী হাতিরপুল নামক ব্রিজটি। দীর্ঘদিন যাবত সংস্কার না করায় বর্তমানে ব্রিজটির নিচের গার্ডার ফেটে গেছে, উপরের গার্ডার ফেটে হেলে গেছে ও উপরের পাটাতন দেবে গিয়ে ঝুঁকিপূর্ন অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে ব্রিজটি। ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এর উপর দিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে ছোট-বড় যানবাহনসহ পথচারীরা। এই ব্রিজটির উপর দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার সাধারণ মানুষ, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন প্রকার ভারী যান বাহন চলাচল করে থাকে। এই সড়কটি পূর্বে উপজেলা প্রশাসনের আওতায় থাকলেও বর্তমানে এই সড়কটি নওগাঁ সড়ক ও জনপদ বিভাগের আওতায়।

সাধারণ পথচারীসহ স্থানীয়রা জানান, উপজেলার বাণিজ্যিক রাজধানী আবাদপুকুরের সঙ্গে রাণীনগরের একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম হলো এই সড়ক। এই সড়কে ব্রিটিশ আমলে নির্মিত এই ঐতিহ্যবাহি ব্রিজটির দীর্ঘদিন কোন সংস্কার না করায় তা এখন চলাচলের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ন। সম্প্রতি ব্রিজটির দেবে যাওয়া একদিকের গার্ডারটির কিছু অংশ ভেঙ্গে আবার নতুন করে তৈরি করা হলেও ব্রিজটি এখনো ঝুঁকিপূর্ন। ব্রিজটির উপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমরা প্রতিদিন চলাচল করছি। দ্রুত এই ব্রিজটি ভেঙ্গে এর আদলে আরেকটি ব্রিজ নির্মাণ করা অতিব জরুরী।

নওগাঁ সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: হামিদুল হক বলেন, অচিরেই এই সড়কের সংস্কার কাজ শুরু হবে। তখন ঐতিহ্যবাহী এই ব্রিজটি ভেঙ্গে নতুন করে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হবে। শুধুমাত্র দরপত্র হওয়ার অপেক্ষায়। দরপত্র হলেই কাজ শুরু হবে। সেই সময় পর্যন্ত চলাচলের জন্য ব্রিজের অধিক ঝুঁকিপূর্ণ অংশটি সংস্কার করা হয়েছে।

(এসকেপি/এসপি/আগস্ট ০৯, ২০১৮)