জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে দাম্পত্য কলহের জের ধরে স্ত্রীর হাতে স্বামী হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার আরামনগর বাজারের জিএমসি কলোনীতে। 

নিহত রকিবুল তরফদার রাব্বী সরিষাবাড়ীর শিমলা বাজারের কালু তরফদারের ছেলে। এ ঘটনায় স্ত্রী মৌটুসি (২০) ও শাশুড়ী হাসি বেগমকে আটক করেছে সরিষাবাড়ী থানা পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২ বছর পুর্বে সরিষাবাড়ী শিমলা বাজারের খলিল তরফদারের ছেলে রকিবুল তরফদার রাব্বীর সাথে জামালপুর সদরের দিগপাইত এলাকার আবুল কাশেমের মেয়ে মৌটুসির বিয়ে হয়। বিয়ের পর আরমনগর বাজারে জিএমসি কলোনীতে সুরুজ মিয়া বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতো। বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে স্বামী-স্ত্রী’র মধ্যে ঝগড়া-হাতাহাতির এক পর্যায়ে রকিবুল তরফদার মারাত্মক আহত হয়ে অচেতন হয়ে পড়ে।

রফিকুলকে সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত ডাঃ মমতাজ উদ্দিন মৃত ঘোষণা করে। হাসপাতালে লাশ রেখে পালানোর সময় স্থানীয় লোকজন আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ হাসপাতাল থেকে স্বামী হত্যার অভিযোগে স্ত্রী মৌটুসি ও শাশুড়ী হাসি বেগমকে আটক ও লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

নিহতের ফুফু আইরিন আক্তার লাকি জানায়, রকিবুল তরফদার পরিবারের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে করে স্ত্রী মৌটুসীকে নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতো। স্ত্রী মৌটুসী জামালপুর সরকারী আশেক মাহমুদ কলেজের বি এ ১ম বর্ষের ছাত্রী। মৌটুসি পরকিয়ায় আসক্ত অভিযোগ তুলে বলেন, পরকিয়া আসক্তের পর থেকে রাব্বীকে সহ্য করতে পারতোনা। এই নিয়ে প্রায়ই ঝগড়াঝাটি দাম্পত্য কলহ লেগেই থাকতো। তার স্ত্রী আমাদের রাব্বীকে মেরে ফেলেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আরিফুল ইসলাম জানান, সরিষাবাড়ী হসপিটাল থেকে রকিবুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। নিহতের চোখে ও শরিরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহৃ পাওয়া গেছে। স্ত্রী মৌটুসী বেগম ও শাশুড়ী হাসি বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের থানায় নেয়া হয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মো: রেজাউল ইসলাম খান বলেন, কি কারনে রাব্বীর মৃত্যু হয়েছে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে, ময়নাতদন্তের রির্পোটের পর বিস্তারিত বলা যাবে। এ ব্যপারে মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

(আরআর/এসপি/আগস্ট ০৯, ২০১৮)