আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : আত্মসাতের জন্য নিয়মবর্হিভূতভাবে বিদ্যালয় গাছ বিক্রির খবর পেয়ে শুক্রবার সকালে কাটা গাছগুলো জব্দ করেছে উপজেলা প্রশাসন। ঘটনাটি জেলার গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর পাঙ্গাশিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের। ওই বিদ্যালয়ের মেয়াদউত্তীর্ণ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও প্রধানশিক্ষক স্কুলের প্রায় আড়াই লাখ টাকার গাছ পানির দরে বিক্রি করেছিলেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অখিল চন্দ্র দাস ও প্রধানশিক্ষক মোঃ ফরিদ উদ্দিন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে বিদ্যালয় চাত্বরের গাছ বিক্রি করেন। এ ব্যাপারে এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ দায়েরের পর ইউএনও খালেদা নাছরিন শুক্রবার সকালে সরেজমিনে পরিদর্শন করে কেটে ফেলা গাছের ৫৬ টুকরা গাছ জব্দ করে স্থানীয় ইউপি সদস্যর জিম্মায় দিয়ে বাকি গাছ কাটতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন।

জানা গেছে, গত ২২ জুলাই বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ শেষ হয়। নতুন কমিটি অনুমোদনের জন্য শিক্ষা বোর্ডে পাঠানো হয়েছে। এই সুযোগে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি অখিল চন্দ্র দাস ও প্রধানশিক্ষক ফরিদ উদ্দিন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে বিদ্যালয় চত্ত্বরের প্রায় আড়াই লাখ টাকা মূল্যের মেহগনি ও রেন্ট্রি গাছ স্থানীয় গাছ ব্যবসায়ী সামু ফকিরের কাছে মাত্র এক লাখ দশ হাজার টাকায় বিক্রি করেন।

খাঞ্জাপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি ফরিদ হোসেন বেপারী ও ইউপি সদস্য গিয়াস উদ্দিন অভিযোগ করেন, সভাপতি এবং প্রধানশিক্ষক স্কুলের গাছ আত্মসাত করতেই অনিয়ম করে গাছ বিক্রি করেছেন। গত ৬/৭দিন ধরে গাছ ব্যবসায়ী সামু ফকির গাছ কাটতে শুরু করার খবর পেয়ে আমরা গাছ কাটতে বাঁধা দেয়া সত্বেও অখিল দাসের নির্দেশে গাছ কাটা অব্যাহত থাকে।

অভিযুক্ত প্রধানশিক্ষক মোঃ ফরিদ উদ্দিন ও ম্যানেজিং কমিপির সভাপতি অখিল চন্দ্র দাস গাছ বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, স্কুলের আসবাবপত্র বানানোর জন্য গাছগুলো কাটা হচ্ছিলো। খাঞ্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোঃ নুর আলম সেরনিয়াবাত গাছ বিক্রির কথা স্বীকার করেছেন।

গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালেদা নাছরিন বলেন, কেটে ফেলা ৫৬ টুকরা গাছ জব্দ করে স্থানীয় ইউপি সদস্য কামাল হোসেন ও আওয়ামী লীগ নেতা কালু হাওলাদারের জিম্মায় রাখা হয়েছে। বাকি গাছ কাটতে নিষেধ করা হয়েছে।

(টিবি/এসপি/আগস্ট ১০, ২০১৮)