কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : ঈদে নতুন জামা কিনে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় প্রথম শ্রেনীর এক শিশুকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে এক লম্পট।

আজ শুক্রবার সকাল ৯ টায় ওই শিশুটি তার নিজ বাড়িতেই ধর্ষনের স্বীকার হয়। পরে স্থানীয়রা ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে ভেড়ামারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে চিকিৎসকরা তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রের্ফাড করেছে।

এ ঘটনার পর থেকেই লম্পট আলম (৫০)পলাতক রয়েছে। সে ভেড়ামারার ১৬দাগ চাষী ক্লাব এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে।

স্থানীয়রা জানায়, ভেড়ামারা উপজেলার মসলেমপুর পাম্প হাউজ এলাকার চরম হতদরিদ্র রেনু খাতুনের সংসারেই বসবাস করে মারিয়া এবং হিমেল নামের দুই শিশু। বাবা মা থেকেও নেই। রেনু খাতুন এই শিশু দুটির দাদী হয়। দাদী অন্যের বাড়িতে কাজ করে কোন রকম জীবিকা নির্বাহ করেন।

শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে কাজের সন্ধানে দাদী রেনু খাতুন বাহিরে চলে গেলে ১৬ দাগ চাষী ক্লাব এলাকার হাবিবুর রহমানের পুত্র লম্পট আলম ওই বাড়িতে হাজির হয়। এ সময় শিশু মারিয়াকে ঈদের নতুন জামা কিনে দেওয়ার প্রলোভন এবং ভয় ভীতি দেখিয়ে নগ্ন করে ছবি তোলে। এরপর জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ দৃশ্য দেখে ফেলে তারই ৫ বছরের ছোট ভাই হিমেল। তার ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে শিশুটিকে উদ্ধার করে এবং লম্পট আলম পালিয়ে যায়।

বাহিরচর ইউনিয়ন পরিষদ’র ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবদুল জলিল জানিয়েছে, এখানে লম্পট আলম’র একটি ওয়ার্কসপ রয়েছে। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ঈদে নতুন জামা কিনে দেওয়া এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে শিশুটি ধর্ষণ করে। যা একটি জঘন্যতম অপরাধ।

বাহিরচর ইউনিয়ন পরিষদ’র প্যানেল চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ জানিয়েছে, লম্পট আলম শিশুটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনা ঘটিয়েই লম্পট আলম পালাতক রয়েছে। তার বাড়িতেও কেউ নেই।

ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরাত চিকিৎসক ডাঃ শুপ্রভা রাণী জানিয়েছে, শিশু শিক্ষার্থীকে মুমূর্ষ অবস্থায় হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আনা হয়। প্রাথমিক ভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। এরপর তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রের্ফাড করা
হয়েছে।

ভেড়ামারা থানার (ওসি) আমিনুল ইসলাম ধর্ষনের কথা স্বীকার করে জানান, শিশু ধর্ষণের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এএসআই আবু তাহেরকে পাঠায়েছিলাম। সে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্বাক্ষীদের বক্তব্য রেকর্ড করেছেন এবং ধর্ষক আলমকে গ্রেফতার করার জন্য পুলিশের দুইটি টিম বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে।

(কেকে/এসপি/আগস্ট ১০, ২০১৮)