আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাতে চলন্ত ট্যাক্সির ভেতর নারী যাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে চালকের বিরুদ্ধে। নিজের সম্মান রক্ষার জন্য চলন্ত ট্যাক্সি থেকেই রাস্তায় ঝাঁপ দেন ওই নারী। এদিকে তার ব্যাগ ও জিনিসপত্র নিয়েই পালাতে থাকেন ট্যাক্সিচালক।

টহলরত পুলিশ খবর পেয়ে ধাওয়া করে ওই ট্যাক্সিকে। একই সঙ্গে ওই মহিলার স্বামী খবর পেয়ে এসে স্ত্রীকে তার বাইকের পেছনে বসিয়ে ট্যাক্সির পিছু নেন। অনেকটা ফিল্মি কায়দায় রাতের অন্ধকারে বাসন্তী হাইওয়েতে পাঁচ কিলোমিটার তাড়া করে প্রগতি ময়দান থানার পুলিশ ধরে ফেলে ট্যাক্সিচালককে।

মহিলা বাইকে করে এসে লালমোহন যাদব নামে ওই ট্যাক্সিচালককে শনাক্ত করেন। ট্যাক্সির ভেতর থেকে তার ব্যাগও উদ্ধার করা হয়। শ্লীলতাহানি, ছিনতাইয়ের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত চালককে। ট্যাক্সিটি আটক করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগকারীর বাড়ি আনন্দপুর থানা এলাকার বানতলায়। রবিবার রাতে তিনি উত্তর ২৪ পরগনার নিউ ব্যারাকপুর স্টেশন থেকে শিয়ালদহগামী ট্রেনে উঠে উল্টোডাঙা স্টেশনে নামেন। সেখান থেকে একটি বাসে করে আসেন বেলেঘাটার চিংড়িঘাটায়। বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর এক ট্যাক্সিচালক তাকে বানতলায় নিয়ে যেতে রাজি হন।

ওই মহিলার স্বামী কাঠের আসবাবপত্র তৈরি করেন। মহিলা ট্যাক্সিতে উঠে তার স্বামীকে বানতলা বাসস্ট্যান্ডে বাইক নিয়ে দাঁড়াতে বলেন। ট্যাক্সি করে বানতলা স্ট্যান্ডে নেমে স্বামীর বাইকে করেই বাড়ি যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি। বাসন্তী হাইওয়ে ধরে ট্যাক্সি চলতে শুরু করে।

অভিযোগ, রাত সোয়া ১১টা নাগাদ বানতলার আগে কয়লা ডিপোর কাছে ট্যাক্সিটি আসার পর চালক গাড়ি চালাতে চালাতেই পেছনের সিটে বসা ওই যাত্রীর শ্লীলতাহানি করতে চেষ্টা করেন। চালকের মতলব খারাপ বুঝে চিৎকার করতে শুরু করেন ওই নারী যাত্রী। তখন উল্টো দিক থেকে প্রগতি ময়দান থানার টহলগাড়ি হাইওয়ে ধরে আসছিল।

পুলিশের গাড়ি দেখে ট্যাক্সি ‘ব্যাক’ করেন চালক। আবার সায়েন্স সিটির দিকে প্রচন্ড গতিতে চলতে শুরু করে ট্যাক্সিটি। ওই নারী যাত্রী গাড়ি থামাতে বললেও ট্যাক্সিচালক কর্ণপাত করেন না। শেষে নিজের সম্মান বাঁচাতে চলন্ত ট্যাক্সি থেকেই ঝাঁপ দেন মহিলা।

(ওএস/এস/জুলাই ১৪, ২০১৪)