স্টাফ রিপোর্টার : নারী ক্ষমতায়ন ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় দেশে প্রথম নারী ব্যারিস্টার রাবেয়া ভূঁইয়া নারী আইনজীবীদের জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।

নারী শিক্ষায় অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে ডক্টর অব ল’জ উপাধিতে ভূষিত হওয়ায় সাবেক এই মন্ত্রীকে দেয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধান বিচারপতি। রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

রাবেয়া ভূঁইয়াই প্রথম বাংলাদেশি, যিনি ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে ডক্টর অব ল’জ উপাধিতে ভূষিত হলেন।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি বলেন, রাবেয়া ভূঁইয়া সুপ্রিম কোর্টের একজন সিনিয়র আইনজীবী ছাড়াও শিক্ষা, সামাজিক ও নারীর অধিকার ও ক্ষমতায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন। তিনি এখন ব্যক্তি হিসবে নয়, প্রতিষ্ঠান হিসেবেই বেশি পরিচিত।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, ব্রিটিশ হাই কমিশনার এলিস ব্ল্যাক, ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের পরিচালক সাইমন আস্কে। অন্যেদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার ফজলে নুর তাপস। এ ছাড়া সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

চলতি বছরের ৬ মার্চ বৃটেনের ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন তাদের ১৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ব্যারিস্টার রাবেয়া ভূঁইয়াকে ডক্টর অব ল’জ উপাধিতে ভূষিত করেন। দেশ-বিদেশে নারীদের শিক্ষা ক্ষেত্রে অপরিসীম অবদান স্বরূপ তাকে এ স্বীকৃতি দেয়া হয়। তিনি এশিয়ার দ্বিতীয় নারী হিসেবে এ সম্মান অর্জন করেন।

উল্লেখ্য, ড. রাবেয়া ভূঁইয়া বাংলাদেশের প্রথম নারী ব্যারিস্টার। তিনি ১৯৭৩ সালে ব্রিটেনের লিংকন ইউনিভার্সিটি থেকে বার অ্যাট ল’ ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।

১৯৮৯ সালে বৃটিশ সিলেবাসের আদলে এলএলবি কোর্সের (অনার্স) জন্য ভূঁইয়া একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন। এ পর্যন্ত এ প্রতিষ্ঠান থেকে সাড়ে ৬ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করে আইনজীবী হিসেবে কাজ করছেন। ৫শর বেশি শিক্ষার্থী বার অ্যাট ল’ অর্জন করে আইনাঙ্গনসহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করছেন।

ব্যারিস্টার রাবেয়া ভূঁইয়া ১৯৮৫-৮৭ সাল পর্যন্ত সমাজকল্যাণ ও মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অন্যতম আইনজীবী।

(ওএস/এসপি/আগস্ট ১১, ২০১৮)