বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাংলাদেশের জলসীমানায় অবৈধ অনুপ্রবেশ করে সুন্দরবন উপকূলে মাছ আহরণের অভিযোগে এফবি মিন্টু নামের  নামের এশটি ফিশিং ট্রলার ও দুই ভারতীয় জেলেসহ ৪ জনকে আটক করেছে কোস্টগার্ড। 

শুত্রুবার গভীর রাতে পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের বলেশ্বর নদীর সুপতির মাঝেরচর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতদের শরণখোলা থানায় হস্তান্তরের পর শনিবার সকালে আদালতের নির্দেশে তাদের বাগেরহাট কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আটককৃতরা হলেন, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার ঝড়খালীর মাষ্টারপাড়া গ্রামের কৃষ্ণপদ সানার ছেলে রনজিৎ সানা (৩৮), পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার বৃদ্ধাবলীপাড়া গ্রামের হরেন মজুমদারের ছেলে সত্যজিৎ মজুমদার (২১), বাংলাদেশের পিরোজপুর জেলা সদরের ধাবরী গ্রামের কেশবলাল দাসের ছেলে পরিমল দাস (৫৮) ও ঝালকাঠী জেলার শংকর ধবল গ্রামের মধুসুদন হালদারের ছেলে রমেশ চন্দ্র হালদার (৬৮)।

পুলিশ জানায়, পিরোজপুরের জেলা সদরের পরিমল দাস ভারতের ঝাড়খালী থেকে এফবি মিন্টু নামের ভারতীয় একটি ফিশিং ট্রলারটি ক্রয় করেন। চোরাচালানীর উদ্যেশে ফিশিং ট্রলারটি কিনে তিনি ভারতীয় ওই দুই নাগরিকের সহায়তায় গোপনে সমুদ্র পথে দেশে ফিরছিরেন। শুক্রবার গভীর রাতে বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের বলেশ্বর নদীর সুপতির মাঝেরচর এলাকা থেকে ট্রলারসহ তাদের আটক করে কোস্টগার্ড।

পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের সুপতি কোষ্টগার্ড স্টেশনের পেটি অফিসার হাবিবুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে বলেশ্বর নদীতে অভিযান চালিয়ে ট্রলারসহ তাদের আটক করা হয়। এসময় ট্রলারটিতে তল্লাশী চালিয়ে ৬ বোতল বিদেশী মদ ও মাছ ধরার বেশ কিছু উপকরণ উদ্ধার করা হয়েছে।
শরণখোলা থানার এসআই মহিদুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে কোষ্টগার্ডের সুপতি কন্টিনজেন্টের পেটি অফিসার হাবিবুর রহমান বাদি হয়ে, আটককৃতদের বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশ, সরকারী শুল্ক ফাঁকি ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা দায়ের করেছেন।

(এসএকে/এসপি/আগস্ট ১১, ২০১৮)