স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি নেতারা আন্দোলনের ডাক দিয়ে ঘরে বসে হিন্দি সিরিয়াল দেখে। আর ফোন করে খোঁজ নেয় পুলিশের গতিবিধি। দেশের জনগণ এখন আন্দোলন মুডে নেই, তারা নির্বাচন মুডে আছে।

রবিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) মিলনায়তনে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) আয়োজিত ‘১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শোক সভা ও আলোচনা’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

১৫ আগস্ট বিএনপি ও বেগম জিয়া ভুয়া জন্মদিন পালন থেকে মোটেই সরছে না। তাহলে তাদের সঙ্গে কি করে সংলাপ হতে পারে? বলে মন্তব্য করেন সেতুমন্ত্রী।

কাদের বলেন, বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে সংঘাতের রাজনীতি। তারা ক্ষমতায় থাকাকালীন ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা করা হয়েছে। মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। যাদের রাজনীতি এত নির্মম তাদের সঙ্গে কি রাজনীতিতে ওয়ার্কিং আন্ডারস্ট্যাডিং করার সুযোগ আছে?

‘কটু কথা, কটু ভাষণ’ বিএনপি’র রাজনৈতিক ভূষণ দাবি করে তিনি বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংলাপে বসার জন্য বিএনপি নেত্রীকে টেলিফোন করে ছিলেন। তিনি কি অশালীন ভাষায় কথা বলেছেন, এটা দেশের জনগণ জানে।

‘কোরবানি ঈদের পর বিএনপির আন্দোলন’ এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দিনক্ষণ দিয়ে আন্দোলন হয় না। ৯ বছরে তা প্রমাণ করেছে দলটি। ৯ বছরে ৯ মিনিটও রাস্তায় দাঁড়াতে পারেননি ফখরুল সাহেব। এ দলের নেতারা আন্দোলনের ডাক দিয়ে ঘরে বসে হিন্দি সিরিয়াল দেখে। পরে খোঁজ নেয় পুলিশের গতিবিধি।

বিদেশিদের কাছে নালিশ এখন বিএনপির পুঁজি মন্তব্য করে সড়কমন্ত্রী বলেন, এরা (বিএনপি) শুধু ইস্যু খুঁজে। ইস্যু খুঁজতে খুঁজতে শিশুদের নিরাপদ সড়কের আন্দোলনে ভর করে ক্ষমতা যাওয়ায় চোরাই পথ আবিষ্কার করতে চেয়েছে। এখানে সুবিধা করতে না পেরে তাদের সাম্প্রদায়িক দোষরদের দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে অপপ্রচার চালানোর নীল নকশা করেছে।

কোটা আন্দোলনকারীদের প্রসঙ্গে কাদের বলেন, আল্টিমেটাম দিয়ে বঙ্গবন্ধুর কন্যা থেকে কিছু আদায় করা যাবে না। কোটা আন্দোলনকারীদের সুখবরের জন্য কিছুদিন ধৈর্য ধরতে হবে। ধৈর্য ধরলে সমস্যা কোথায়? তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করতে কিছুটা সময় লাগবে। তবে হতাশ হওয়ার কারণ নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিশ্রুতি পূরণ করেন।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সেলানের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, আয়োজক সংগঠনের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ প্রমুখ।

(ওএস/এসপি/আগস্ট ১২, ২০১৮)