ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় র‌্যাবের ৯ জন সদস্যের বিরুদ্ধে করা হত্যা মামলায় কোন এখতিয়ার বলে র‌্যাব জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আবেদন করেছে সরকারের কাছে এর ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। আজ মঙ্গলবার এ বিষয়ে সরকারপক্ষকে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

বিচারপতি শওকত হোসেন ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল সোমবার এ আদেশ দেন।
র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‌্যাব-১৪-এর ৯ জন সদস্যের বিরুদ্ধে ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১ জুন একটি নালিশি আবেদন করেন মেহেদী হাসান। অভিযোগে বলা হয়, গত ২৯ এপ্রিল তাঁর ভাই শাহনুরকে র‌্যাব-১৪-এর সদস্যরা বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে নির্যাতন করেন। এরপর তাঁকে নবীনগর থানায় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। এরপর জনৈক আবু তাহের বাদী হয়ে শাহনুরের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে। পুলিশ শাহনুরকে আদালতে হাজির করে কারাগারে পাঠান। অসুস্থ শাহনুরকে কারাগার থেকে প্রথমে ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল ও পরে ৬ মে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেদিনই শাহনুর সেখানে মারা যান। অভিযোগে বলা হয়, র‌্যাবের নির্যাতনে শাহনুরের মৃত্যু হয়েছে।
এরপর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত গত ৪ জুন আবেদনটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন। কিন্তু এ আদেশের বিরুদ্ধে ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতে রিভিশন আবেদন করেন। আদালত ৮ জুন এক আদেশে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আদেশ বাতিল করে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আদেশের বৈধতা তুলে মেহেদী হাসান হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেন। তাঁর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া। সরকারপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোশাররফ হোসেন সরদার। গতকাল এ বিষয়ে শুনানিকালে আদালত র‌্যাবের এখতিয়ার নিয়ে সরকারের ব্যাখ্যা জানতে চান। জবাবে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোশাররফ হোসেন সরদার সময়ের আবেদন জানিয়ে বলেন, এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম শুনানি করবেন। তাই সময় দেওয়া হোক। আদালত আজ মঙ্গলবার শুনানির দিন ধার্য করেন।
(ওএস/এএস/জুলাই ১৫, ২০১৪)