সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) : নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক মো: মঈন উল ইসলামের নির্দেশে কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুকতাদিরুল আহমেদের হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেল ষষ্ঠ শ্রেণীর এক ছাত্রী।

১০৯ নম্বরে কল দিয়ে জেলা প্রশাসকের নিকট অভিযোগ করার পর বাল্যবিয়ে বন্ধের উদ্যোগ নেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার আশুজিয়া জে.এন.সি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ষষ্ঠ শ্রেণীর ওই ছাত্রীটির প্রাপ্ত বয়স না হলেও বিয়ে ঠিক করে তার মা বাবা।

উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আব্দুর রৌফ সরকার জানান, কেন্দুয়া উপজেলার আশুজিয়া ইউনিয়নের চান্দপাড়া গ্রামের সবুজ মিয়ার ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া কন্যার বিয়ে ঠিক করেন কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পাগলা মসজিদ সংলগ্ন কসাইপট্টি এলাকার বাসিন্দা এক ছেলের সাথে।

রবিবার ওই ছাত্রীর বিয়ের আয়োজন করা হয় তার বাবার বাড়িতে। বিয়েটি বন্ধ করার জন্য এলাকার অজ্ঞাতনামা এক সচেতন ব্যক্তি ১০৯ নম্বরে বিষয়টি জানানোর পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে অবগত হন নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক মো: মঈন উল ইসলাম।

পরে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিয়েটি বন্ধের জন্য নির্দেশ দেন। এরই প্রেক্ষিতে ইউএনও’র হস্তক্ষেপে উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা আব্দুর রৌফ সরকার কেন্দুয়া থানার এসআই আব্দুর রাজ্জাককে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিয়েটি বন্ধ করে দেন।

(এসবি/এসপি/আগস্ট ১২, ২০১৮)