শেরপুর প্রতিনিধি : শেরপুরের ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাসের হস্তক্ষেপে এক মাদ্রাসাছাত্রীর (১৫) বাল্যবিবাহ বন্ধ হয়েছে। আজ রবিবার বিকেলে উপজেলার ঝিনাইগাতী সদর গ্রামে এ বিয়ে বন্ধ করা হয়। বাল্যবিবাহের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া এই কিশোরী স্থানীয় দারুল ইসলাম দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার বিকেল পাঁচটায় গাজীপুরের কোনাবাড়ির কাসেমপুর এলাকার এক যুবকের (২৫) সঙ্গে ওই কিশোরীর বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল। এ সংবাদ জানতে পেরে ঝিনাইগাতী কই পক্ষের অভিভাবকেরা এই বাল্যবিবাহ বন্ধ করেন।

বাল্যবিবাহের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া কিশোরীটি এ প্রতিবেদককে জানান, এ বিয়েতে তার কোনো সম্মতি ছিল না। কিন্তু তার বাবা একজন দর্জি। তাই পরিবারের চাপে বাধ্য হয়ে সে রাজী হয়েছিল। পড়ালেখা করে প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত সে বিয়ে করবে না বলে জানায়।

ঝিনাইগাতী থানার ওসি বিপ্লব কুমার বিশ্বাস দৈনিক অধিকারকে বলেন, বাল্যবিবাহের সংবাদ পেয়ে সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে ওই মাদ্রাসাছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে প্রাপ্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত ওই কিশোরীর বিয়ে দেবেন না মর্মে কনে ও বরপক্ষের পরিবারের কাছ থেকে অঙ্গীকারনামা নেওয়া হয়েছে।

(এসআর/এসপি/আগস্ট ১৩, ২০১৮)