রঞ্জন কৃষ্ণ পন্ডিত, টাঙ্গাইল : ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক মানেই ঈদে ঘরমূখো মানুষের চরম ভোগান্তির আশংকা। বিগত কয়েক বছর যাবৎ মহাসড়কে চার লেন প্রকল্পের কাজ চলমান থাকায় উত্তরবঙ্গসহ ২৩টি জেলার মানুষের ভোগান্তির কোন শেষ নেই। মহাসড়কের উন্নয়ন মানুষের চরম ভোগান্তির কারন হয়ে দেখা দিয়েছিলো। 

টাঙ্গাইলের কালিহাতি থেকে গাজীপুরের ভোগড়া পর্যন্ত প্রায় ৭০কি.মি. এলাকা জুড়েই ছিলো রাস্তা খানাখন্দক আর নানা প্রতিবন্ধকতা। ফলে প্রায় প্রতিদিনই যানজট এবং সড়ক দূর্ঘটনার কবলে পরতে হতো সাধারন যাত্রী ও গাড়ি চালকদের।

অন্যদিকে ৫ ঘন্টার রাস্তা ১০থেকে ১২ ঘন্টা সময় লাগতো গন্তব্যে পৌঁছাতে। বর্তমানে মহাসড়কের ২৩টি ব্রীজ সম্পূর্ন হয়ে চার লেন প্রকল্পের প্রায় ৮০ভাগ রাস্তার কাজ শেষ হয়েছে। আগামী ঈদে ব্রীজগুলো ব্যবহার উপযোগী হওয়ায় রাস্তায় আর তেমন কোন প্রতিবন্ধকতা থাকছেনা। ট্রাফিক পুলিশের পর্যাপ্ত নজরদারী আর মহাসড়কের পাশে গরুর হাট না বসালে দীর্ঘ দিনের উন্নয়ন ভোগান্তি কাটিয়ে আগামী ঈদে নিরাপদে ঈদে ঘরে ফেরা মানুষ গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে বলে জানিয়েছেন চালক ও যাত্রীরা।

উত্তরবঙ্গের বাস চালক আরিফুল ইসলাম জানায় দীর্ঘদিন ভোগান্তির পর আগামী ঈদুল আযহার আগেই সড়ক উন্নয়নের কাজ প্রায় শেষ হওয়ার পথে। এ কারণে আমরা দীর্ঘদিনের ভোগান্তি পেরিয়ে আশার আলো দেখতে পাচ্ছি। সবগুলো ব্রীজ যান চলাচলের উপযোগী হলে যানজট হওয়ার আশঙ্কা নেই। অপরদিকে পুলিশ প্রশাসনের (ট্রাফিক আইন) যানজট নিরসনের লক্ষ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ী ধনবাড়ীতে ফিরছেন আব্বাস আলী।

তিনি জানান, এবার ঈদে বাড়ী ফিরতে তেমন যানজট চোখে পড়েনি। চার লেনের কাজ প্রায় সম্পন্ন হওয়ায় ঈদের পূর্ব মুহুর্তে যানজটের সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা কম।

এদিকে চারলেন প্রকল্প ব্যবস্থাপক অমিত কুমার চক্রবর্তী জানান, কয়েক দিনের মধ্যে মহাসড়কের ২৩টি ব্রীজ প্রাধান মন্ত্রী উদ্বোধন করবেন। মহাসড়কে যেহেতু ব্রীজগুলো সম্পন্ন হয়েছে সেহেতু মহাসড়কের টাঙ্গাইল অংশে ঈদে যানজট হওয়ার আশঙ্কা কম।

এদিকে টাঙ্গাইল পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় জানান, অপরিকল্পিতভাবে কেউ যাতে কৃত্রিম যানজট সৃষ্টি করতে না পারে এজন্য রাস্তার পাশে যাতে গরুর হাট বসাতে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। রাস্তা নিষ্কন্টক রাখতে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে, যাতে মানুষ নিরাপদে ঘরে ফিরতে পারে।

(আরকেপি/এসপি/আগস্ট ১৩, ২০১৮)