আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : জাতীয় সংসদের প্যানেল স্পীকার ও বরিশাল-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট তালুকদার মোঃ ইউনুস বলেছেন, স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্ব-পরিবারে হত্যায় জড়িত ১১ ঘাতককে পুনর্বাসিত করেছিলো বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। মাত্র পাঁচ মাসের মধ্যে ওই সকল খুনীদের বিভিন্ন কূটনৈতিক পদমর্যাদায় বিদেশে বাংলাদেশী দূতাবাসগুলোতে নিয়োগ দেয়া হয়।

জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বরিশাল বারের সাবেক সভাপতি এ্যাডভোকেট তালুকদার মোঃ ইউনুস আরও বলেন, জিয়া বেঁচে থাকলে বঙ্গবন্ধুর অন্যান্য খুনীদের ন্যায় তারও বিচার করা হতো। এখন তার (জিয়া) বিচার আল্লাহতায়ালার ওপর ছেড়ে দিয়েছি। ইনশাআল্লাহ সৃষ্টিকর্তাও বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের পরিকল্পনাকারী জিয়াকে ক্ষমা করবেনা।

জেলার উজিরপুর উপজেলার ধামুরা মাধ্যমিক বিদ্যালয় মিলনায়তনে সোমবার বিকেল থেকে শুরু হওয়ায় শোক দিবসের আলোচনা চলে মধ্যরাত পর্যন্ত। সভায় শোলক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ডাঃ আব্দুল হালিমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এইচএম জামাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ সিকদার বাচ্চু, যুবলীগ নেতা শাওন বালী প্রমুখ।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বরিশাল-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের প্যানেল স্পীকার তালুকদার মো. ইউনুস ইতিহাসের আলোকে আরও বলেন, জিয়াউর রহমান ঘাতকদের মধ্যে সর্বপ্রথম মেজর (বরখাস্ত) বজলুল হুদাকে ১৯৭৬ সালের ৫ জুন ইসলামাবাদের হাইকমিশনের কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়। এরপর ৮ জুন লেফট্যানান্ট কর্নেল (অব.) এসএইচএমবি নূর চৌধুরীকে তেহরান দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব ও ১৪ জুন লেফট্যানান্ট কর্নেল (অব.) সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খানকে জাকার্তা দূতাবাসের একই পদে নিয়োগ দেয়। তারই ধারাবাহিকতায় ২ জুলাই লেফট্যানান্ট কর্নেল (বরখাস্ত) একেএম মহিউদ্দিন আহমেদকে আলজিয়ার্স দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব, ৫ জুলাই ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবুধাবি দূতাবাসের তৃতীয় সচিব, ৭ জুলাই মেজর (বরখাস্ত) খায়রুজ্জামানকে কায়রো দূতাবাসের তৃতীয় সচিব, ৮ জুলাই লেফট্যানান্ট কর্নেল (বরখাস্ত) মোহাম্মাদ আব্দুল আজিজ পাশাকে বুয়েন্স আয়ার্স দূতাবাসের প্রথম সচিব, ১৫ জুলাই মেজর (বরখাস্ত) আহমেদ শরফুল হোসেনকে কুয়েত দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব ও ২৬ জুলাই ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) নাজমুল হোসাইন আনসারিকে অটোয়া হাইকমিশনের তৃতীয় সচিব পদে নিয়োগ দেয়া হয়। এছাড়া ২ আগস্ট লেফট্যানান্ট কর্নেল (বরখাস্ত) এএম রাশেদ চৌধুরীকে জেদ্দা কন্স্যুলেট জেনারেলের দ্বিতীয় সচিব এবং ২৫ সেপ্টেম্বর মেজর (অব.) শরীফুল হক ডালিমকে বেইজিং দূতাবাসের প্রথম সচিব হিসেবে নিয়োগ দেয় জিয়াউর রহমান।

অপরদিকে মঙ্গলবার সকালে গৌরনদী উপজেলা, পৌর ও কলেজ ছাত্রলীগের উদ্যোগে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে স্মরনসভা ও দোয়া মিলাদ অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুবায়ের ইসলাম সান্টু ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক ছিলেন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী। বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এইচএম জয়নাল আবেদীন, ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ নুরুজ্জামান ফরহাদ মুন্সী ও এ্যাডভোকেট সাহিদা আক্তার।

(টিবি/এসপি/আগস্ট ১৪, ২০১৮)