স্টাফ রিপোর্টার : চলছে ‘ওয়ালটন ঈদ মেগা ডিজিটাল ক্যাম্পেইন’। এর আওতায় ওয়ালটন পণ্য কিনে একের পর এক নতুন গাড়ি উপহার পাচ্ছেন ক্রেতারা। ফলে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এই মেগা ক্যাম্পেইন। এবার ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে নতুন গাড়ি পেলেন চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থানার পদুয়া ডালকাটা গ্রামের টিশু দাশ। গত মাসে এখান থেকেই ফ্রিজ কিনে নতুন গাড়ি পেয়েছিলেন কালুরঘাটের চান্দগাঁওয়ের গৃহিণী সীমা শীল।

উল্লেখ্য, গত ১ জুলাই থেকে দেশব্যাপী শুরু ঈদ মেগা ক্যাম্পেইন শুরু করেছে ওয়ালটন। এর আওতায় ওয়ালটনের টিভি, ফ্রিজ কিংবা এসি কিনে রেজিস্ট্রেশন করলেই ক্রেতারা পাচ্ছেন নতুন গাড়ি, মোটরসাইকেল, ফ্রিজ, টিভি, এসিসহ বিভিন্ন পণ্য। এসব ছাড়াও রয়েছে নিশ্চিত ক্যাশব্যাক। এই সুবিধা থাকছে কোরবানির ঈদ পর্যন্ত।

এই ক্যাম্পেইনে এখন পর্যন্ত ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে নতুন গাড়ি পেয়েছেন টিশু দাশসহ মোট ৪ জন। এদের মধ্যে ঢাকার পুলিশ কনস্টেবল আরাধন চন্দ্র সাহা, চট্টগ্রামের গৃহিণী সীমা শীল ও রংপুরে পীরগঞ্জের কৃষক টিটু মিয়া ওয়ালনের কাছ থেকে উপহার পেয়েছেন যথাক্রমে ১ম, ২য় ও ৩য় গাড়ি। এবার ৪র্থ গাড়িটি পেলেন রাঙ্গুনিয়ার টিশু দাশ।

টিশু দাশ গত শনিবার (১১ আগস্ট) বিকালে রাঙ্গুনিয়ার রাজারহাটে ওয়ালটনের উপ পরিবেশক মেসার্স জান্নাত ইলেকট্রনিক্স থেকে ২১ হাজার ৫’শ টাকা দিয়ে ১০ সিএফটি আয়তনের একটি ফ্রিজ কেনেন। এপর তিনি ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করলে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে গাড়ি পাওয়ার এসএমএস যায় তার মোবাইলে। গাড়ি পেয়ে তিনি খুশিতে আত্মহারা। এদিকে আনন্দের জোয়ার বইছে তার নিজ গ্রাম ডালকাটা এলাকায়।

মঙ্গলবার (১৪ আগস্ট) চট্টগ্রাম কালুরঘাট মৌলভী বাজারে ওয়ালটন পরিবেশক লাবীব মার্কেটিং কোম্পানির সামনে আনুষ্ঠানিকভাবে টিশু দাশের কাছে নতুন গাড়িটি হস্তান্তর করা হয়। তার হাতে গাড়ির চাবি তুলে দেন ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক এমদাদুল হক সরকার এবং হুমায়ুন কবীর। এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের ডেপুটি ডিরেক্টর রাকিবুল হোসাইন, এরিয়া ম্যানেজার গোলাম মোস্তফা, লাবীব মার্কেটিং এর স্বত্ত্বাধিকারী সাখাওয়াত হোসেন এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিদারুল আলম।
এ সময় টিশু দাশ বলেন, “কেউ ফ্রিজ কিনে নতুন গাড়ি উপহার পেয়েছেন- এরকম ঘটনা কখনো শুনিনি।

এমনকি ফ্রিজ কেনার সময় বিক্রেতা এই এলাকা থেকে গাড়ি পাওয়ার কথা জানালেও বিশ্বাস হয়নি। কিন্তু, সত্যি সত্যি নিজের জীবনেই এমন ঘটনা ঘটলো। এতে শুধু আমিই খুশি হইনি; আমার পরিবারসহ পুরো পদুয়া ডালকাটা গ্রামই আনন্দিত। হৈ চৈ পড়ে গেছে পুরো রাঙ্গুনিয়ায়। ধন্যবাদ ওয়ালটনকে।”
টিশু দাশের পরিবারে রয়েছেন বাবা, মা ও এক বোন। রাঙ্গুনিয়ার রাজারহাটে তৈরি পোশাকের দোকান রয়েছে তার। সেই দোকানের আয় দিয়েই চালাচ্ছেন সংসার। বাড়িতে নেই কোনো ফ্রিজ। সাধারণ প্রয়োজন মেটাতেই ওয়ালটন ফ্রিজ কেনেন তিনি।

টিশু দাশ জানান, গত দুই বছর ধরে তিনি ওয়ালটনের তিনটি মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন। সেসব মোবাইল থেকে ভালো সার্ভিস পাওয়ায় ওয়ালটনের প্রতি আস্থা জন্মায়। যার ফলে তার আত্মীয় ও বন্ধু-বান্ধবসহ মোট পাঁচটি পরিবারে ব্যবহৃত ফ্রিজগুলো ওয়ালটন থেকে কেনার জন্য তিনিই পরামর্শ দেন। সেসব ফ্রিজের দাম যেমন কম, তেমনি মানেও ভালো।

লাবীব মার্কেটিং কোম্পানির সত্ত্বাধিকারী সাখাওয়াত হোসেন বলেন, তার আওতাধীন শোরুম থেকে ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে গত মাসেও নতুন গাড়ি পেয়েছেন একজন গৃহিণী। সেই খবরটি কালুরঘাটে ব্যাপক হৈ চৈ ফেলেছে। বিশেষ করে কোরবানি ঈদের আগে ওয়ালটন পণ্য কিনে রেজিস্ট্রেশনে ক্রেতাদের মধ্যে তৈরি হয়েছে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা। এবার একই এলাকা থেকে গাড়ি পেলেন টিশু দাশ। ফলে ওয়ালটন শোরুগুলোতে ক্রেতা সমাগম এবং বিক্রি ব্যাপক বেড়েছে।

(পিআর/এসপি/আগস্ট ১৪, ২০১৮)