আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : বরিশালের আগৈলঝাড়ায় গৈলা গ্রামে কবি বিজয় গুপ্ত’র প্রতিষ্ঠিত ৫’শ ২৪বছর বছরের তিহ্যবাহী মনসা মন্দিরে দেবী মনসার বাৎসরিক পূঁজা শুকবার দিনব্যাপি অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

“ধর্ম যার যার উৎসব সবার”-এ বাক্যকে ধারণ করে বিজয় গুপ্ত’র প্রতিষ্ঠিত মন্দিরে জাতি, ধর্ম, বর্ন নির্বিশেষে বাৎসরিক মনসা পূঁজায় দেশ-বিদেশের হাজার হাজার ভক্ত ও পূন্যার্থীরা তাদের মনস্কামনা পর্ণ হওয়ায় পূষ্পার্ঘ্য ও মানত নিয়ে মন্দিরে সমবেত হয়ে পূঁজা অর্চনা, ছাগ বলিদান, যাগযজ্ঞ, প্রার্থনা শেষে প্রসাদ বিতরণ করা হয়েছে।

মনসা মঙ্গল কাব্য ও ঐতিহাসিক মতে, ৫শ ২৪ বছর আগে মধ্য যুগে সুলতান হোসেন শাহ্র শাসনামলে ইংরেজী ১৪৯৪ সনে কবি বিজয় গুপ্ত নিজ বাড়িতে মনসা দেবীর মন্দির প্রতিষ্ঠা করে পূজা অর্চণা শুরু করেন। এর পর থেকে এই মনসা মন্দিরসহ সমগ্র ভারতীয় উপমহাদেশে মনসা পূজার প্রচলন শুরু হয়। পঞ্জিকা মতে, শ্রাবণ মাসের শেষ দিনে সাপের দেবী মনসার পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।

বিজয় গুপ্তর জন্ম তারিখ গভেষণায় প্রাপ্ত তথ্যে নির্নয় করা হলেও মৃত্যু কাল সম্পর্কে সঠিক কোন দিন তারিখ গভেষকরা বলতে পারেন নি। তবে গভেষকদের ধারণা মতে, সম্ভবত ৭০ বছর বয়সে ১৫২০ খ্রিষ্টাব্দে কাশী ধামে বিজয় গুপ্ত দেহত্যাগ করেন।

বিজয় গুপ্তই সর্বপ্রথম তার রচিত মনসা মঙ্গল কাব্যে ইংরেজী দিন, তারিখ ও সনের লিপিবদ্ধ করেন। তাই বিজয় গুপ্তকে রাজ দরবারে মহাকবির উপাধী প্রদান করা হয়। মহাকবি বিজয় গুপ্তর পিতার নাম সনাতন গুপ্ত ও মাতার নাম রুক্সিনী দেবী।

বরিশাল জেলা প্রশাসন জেলার দর্শনীয় স্থানের তালিকার শীর্ষে রেখেছে ঐতিহাসিক বিজয় গুপ্তের মনসা মন্দিরের নাম। দেশ-বিদেশের পুণ্যার্থী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের পর্যটনের উল্লে¬খযোগ্য স্থান হিসেবে রয়েছে এ মন্দিরের স্বীকৃতি।

(টিবি/এসপি/আগস্ট ১৮, ২০১৮)