কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলার একটি ফিশিং ট্রলার ১৭ জন মাঝি-মাল্লাসহ ভারতের কুলতলী নামক থানায় আটক রয়েছে। লেমশীখালী করলাপাড়া গ্রামের মোজাম্মেল হকের মালিকাধীন ‘এফবি আব্দুল জব্বার শাহ্’ নামক ট্রলারটি ৮ আগস্ট গভীর সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ইঞ্জিন বিকল হলে ভেসে ভারতীয় জলসীমায় পৌঁছে আটক হয়।

এ ঘটনা জানার পর বন্দি জেলেদের পরিবারে কান্নার রোল পড়েছে। নিরাপদে মাঝি-মাল্লাদের ফেরতসহ ট্রলারটি উদ্ধারে বাংলাদেশ ও ভারতের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি সাহায্য চেয়েছেন বোট মালিক।

ট্রলার মালিক মোজাম্মেল হক জানান, প্রয়োজনীয় মালামাল নিয়ে গত ৮ আগস্ট গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যায় তার মালিকানাধীন এফবি আব্দুল জব্বার শাহ (রেজি নং-এফ ৪৮২৫, ইঞ্জিন নং-১৪৪২, বিএইচপি-৬৫) নামক ট্রলারটি। খুলনার সুন্দরবন এলাকায় মাছধরা অবস্থায় বোটের ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়লে স্রোতের টানে বোটটি ভারতের জলসীমায় ঢুকে পড়ে।

সাগরে ভাসমান ট্রলারটিকে ভারতীয় জেলেদের অপর একটি ট্রলার সহযোগিতা দিয়ে ভারতের সাগর উপকূলের ‘কুলতলী’ থানাধীন তীরবর্তী এলাকায় পৌঁছে দেয়। খবর পেয়ে কুলতলী থানা পুলিশ বাংলাদেশি ট্রলারের মাঝি মাল্লাদের আটক করে থানায় নিয়ে যান।

বন্দি মাঝি-মাল্লারা হলেন- মামুনুর রশীদ (মাঝি), মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, নুরুচ্ছফা, আবদু শুক্কুর, আবদুল করিম, রফিক উদ্দিন, গিয়াস উদ্দিন, আবদুল মোনাফ, নুরুল আবছার, রাহমত উল্লাহ, মনির উল্লাহ, আবদুল মালেক, নুরুল হোছাইন, রবিউল বাশার, সাইফুল ইসলাম, মুহাম্মদ এরফান ও সাদ্দাম হোছাইন। এরা কুতুবদিয়ার লেমশীখালী ও উত্তর ধুরুং গ্রামের বাসিন্দা বলে নিশ্চিত করেছেন ট্রলার মালিক।

এ ঘটনায় কুতুবদিয়া থানায় গত ১৪ আগস্ট একটি সাধারণ ডায়রি (জিডি-৪৪২/১৮) করেছেন বোট মালিক মোজাম্মেল হক।

কুতুবদিয়া থানার ওসি দিদারুল ফেরদৌস জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিয়মানুসারে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন মহলকে জানানো হয়েছে। বন্দি মাঝি-মাল্লাদের উদ্ধারে আমাদের তরফ থেকে প্রাপ্য সব সহযোগিতা দেয়া হবে।

(ওএস/এসপি/আগস্ট ১৮, ২০১৮)