মাগুরা প্রতিনিধি : পবিত্র ঈদ-উল আজহার আর মাত্র ৫ দিন বাকি। মাগুরার পশু হাটগুলো ইতিমধ্যেই জমে উঠেছে ক্রেতা আর বিক্রেতার ভিড়ে। তবে পশু ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে গরু মোটাতাজাকরণ প্রক্রিয়া শুরু করেছে। তারা আশাবাদ ব্যক্ত করছেন, মাগুরায় এবার প্রায় ৬৫ কোটি টাকার গরু বিক্রি করার।

মাগুরা পশুসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন ঈদকে ঘিরে এবার ১৩১৮৭টি গরু মোটাতাজাকরণ করা হয়েছে যেখানে চাহিদা ৬৫২০ যা প্রায় অর্ধেক।

মাগুরার আড়াইসাত গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রহিম বলেন, আমি এক বছর আগে এক লক্ষ টাকা দিয়ে তিনটি গরু কিনি। গরুর পিছনে এ যাবত আমার ব্যায় ৫০ হাজার টাকা। বর্তমানে আমার গরু তিনটি আড়াই লাখ টাকায় কেনার প্রস্তাব এসেছে।

সদর উপজেলার রামনগর উপজেলার পশু ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমার গরু সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে মোটাতাজা করা হয়েছে। খাবার হিসাবে খড়, চিটাগুড় এবং ইউরিয়া ব্যবহার করা হয়েছে। কোন প্রকার স্টেরোয়েড জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করা হয়নি। চিকিৎসকের পরামর্শে শুধু গরুর ক্ষুধা বাড়ানোর কিছু ওষুধ দেয়া হয়েছে। বাহ্যিকভাবে গরুকে সুন্দর দেখাতে আমরা জিংক সিরাপ জাতীয় ওষুধ দিয়েছি।

সদর উপজেলার আবালপুর এলাকার গরু ব্যবসায়ী মতি মিয়া বলেন, মাগুরার গরুর অনেক চাহিদা। ইতিমধ্যেই গরু কিনতে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যবসায়ীরা আসছে গরু কিনতে। যদি ভারতীয় গরুর আমদানি বন্ধ করা যায় তবে মাগুরার গরু ব্যবসায়ীরা এবার খুশিমনে গরু বিক্রি কওে বাড়ি ফিরতে পারবে।

জেলা পশুপালন কর্মকর্তা কানাই লাল সরকার বলেন, আমরা প্রাকৃতিক উপায়ে গরু মোটাতাজা করণের জন্য পশুপালকদেরকে সব ধরনের সহযোগিতা দিয়েছি। এছাড়াও স্টেরোয়েড ফ্রি গরু মোটাতাজা করণের জন্য আমাদের ৬ টি টিম সবসময় কাজ করে যাচ্ছে।

মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম বলেন, কোরবানি ঈদ সামনে রেখে কোন ধরনের টোল আদায় যেন না হয় তা আমরা নিশ্চিত করেছি। এছাড়াও কোন ধরণের চাদাবাজি ও আইন-শৃংখলার অবনতি যেন না ঘটে সেজন্যও আমরা সবসময় তৎপর।

(ডিসি/এসপি/আগস্ট ১৮, ২০১৮)