ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : ঈশ্বরদীতে ১৪ মাস বয়সী শিশু কন্যাকে পানির ড্রামে চুবিয়ে হত্যার পর আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন পিতা বিএড কলেজের অধ্যক্ষ কাদেরুজ্জামান। শনিবার দুপুরে অধ্যক্ষের কর্মস্থলের টেবিলে রাখা একটি চিঠির সূত্র ধরে ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের পেছনের বিএড কলেজের একটি ড্রামের মধ্যে ভাসমান অবস্থায় ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। হতভাগ্য শিশুটির নাম কারিমা খাতুন। তার বাবা ঈশ্বরদীর বেসরকারি বিএড অধ্যক্ষ কাদেরুজ্জামান। তিনি ঈশ্বরদী পৌর শহরের শেরশাহ রোডে বসবাস করেন।

অধ্যক্ষ কাদেরুজ্জামানের টেবিলে পেপার ওয়েটে চাপা দিয়ে রাখা চিঠিতে লেখা ছিল, 'রাসেল ও পল্লব আমাকে বাঁচতে দিবে না। আমি ওদের রেজিস্ট্রেশন কার্ড তুলতে পারি নাই। তাই পল্লবের কাছে অপমান হওয়ার থেকে মৃত্যু অনেক ভাল। আমার মৃত্যু হলে আমার মেয়ের ভবিষ্যত অনেক খারাপ হবে। তাই মেয়েকে আমিই মেরে ফেললাম, পাশের ঘরের ড্রামে আমার মেয়ের লাশ আছে।' এই চিঠির সূত্র ধরেই শিশুটির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, শনিবার সকাল ৭ টার দিকে অধ্যক্ষ কাদেরুজ্জামান তার শিশু কন্যাকে কোলে নিয়ে প্রাতঃভ্রমণে বের হন। এসময় তার স্ত্রী ঘুমিয়ে ছিলেন। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ঈশ্বরদী বাজারের পৌর সুপার মার্কেটের সামনে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে অধ্যক্ষ কাদেরুজ্জামানকে প্রথমে ঈশ্বরদী ও পরে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার জ্ঞান এখনও ফেরেনি। এদিকে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করার পরপরই তার কর্মস্থল বিএড কলেজে তার টেবিলে পেপার ওয়েটে চাপা দেয়া চিঠির সূত্র ধরে শিশু কন্যা কারিমার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ আজিম উদ্দিন জানান, প্রাথমিকভাবে চিঠির সূত্র ধরেই ধারণা হয়েছে, তার প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন ছাত্রের রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত ঝামেলায় তিনি শিশু কন্যাকে হত্যা করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। তবে অধ্যক্ষ কাদেরুজ্জামানের জ্ঞান ফেরার পর প্রকৃত ঘটনা জানা ও বোঝা যাবে।

(এসকেকে/এসপি/আগস্ট ১৮, ২০১৮)