ধামরাাই (ঢাকা) প্রতিনিধি : ধামরাইয়ের কাঁমার শিল্পীরা এখন নতুন ধারালো অস্ত্র তৈরী ও পুরাতনগুলির ধারালো করতে মহা ব্যস্ত সময় পার করছেন। ক্রেতা ও খদ্দেররা অপেক্ষা করনে দোকানেই।

সারা বছর কামার শিল্পীরা অসল সময় পার করলেও কোরবানির সময় মহা ব্যস্ত হয়ে যায়। দিন রাত কাজ করছেন এক এক জন কামার শিল্পী। কাঠ কয়লা দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে হাওয়া দিয়ে আগুন বাড়িয়ে লাল করে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে তার পর ষান দিয়ে ধারালো করা হয়।

আধুনিকতার বদৌলতে এখন ষান দিতে পাছেন বিদ্যুৎ বাহি মটরের সাহায্যে । আর কাজ বুঝে নিতে বসে থাকেন ষান দিতে আসা খদ্দেররা।

আর এসময় কামারদের আয় রোজগারও বেড়ে যায়। চড়া মূল্য দিতে হয় কাজের বিনিময়ে নিতে আসা খদ্দেরদের।

মাত্র কয়েক দিন বাকি কোরবানী ঈদের। ঈদুল আযহার উপলক্ষে ধামরাইয়ের কামার কারিগড়রা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাঠ কয়লা পুলিয়ে লোহা লাল করে পিঠিয়ে নতুন ধারালো অস্ত্র তৈরী করছেন।পুরাতন গুলি সংস্কার করে সেগুলো ধারালো করে কোরবানির জন্য উপযোগি করে নিচ্ছে ক্রেতারা।

সমস্যায় পড়েছে কামার শিল্পীরা গত তিন দিন ধরে দিনের বেশীর ভাগ সময়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায়। নির্মিত ও পুরাতন অস্ত্রগুলি পাথরে ষান দিতে না পেরে র‌্যাত দিয়ে হাতেই ধারালো করছেন কামার শিল্পীরা।
ধারালো অস্ত্র সংস্কার করতে আসা খদ্দের ব্যাংক কর্মকর্তা মোঃ শফিক বলেন বসে আছেন কোরবানির জন্য ধারালো অস্ত্র গুলি নিতে। একদিকে বিদ্যুৎ নেই অপরদিকে কাজের চাপ থাকায় নিসরিয়াল দিয়ে দোকানেই বসে আছেন অপেক্ষায় ধারালো অস্ত্র নিতে।

দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর পবিত্র ঈদুল আযহার কোরবানী দিতে প্রয়োজনীয় তুরুত্বপুর্ন জিনিষ হচ্ছে ধারালো অস্ত্র বা চাপাটি ,ছুরি বটিদা সহ বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র। সারা বছর ঘরে পড়ে থাকায় ধারালো অস্ত্রগুলিতে যঙ পড়ে থাকে ।

আর সেই সব ধারালো অস্ত্র ষান দিতে জমা দিয়ে সময় নিয়ে যাচ্ছে কামারদের কাছ থেকে।সঠিক সময়ে সরবরাহ করতে কামার শিল্পীরা রাত দিন কাজ করছেন বলে জানান কারিগর শংকর মন্ডল।

ধামরাইয়ের প্রধান কামার শিল্পী কারিগর শংকর মন্ডল বলেন-সারা বছর কাজ কম থাকলেও কোরবানির ঈদে কাজের চাপ বেশী পড়ে। পাচজন কারিগর নিয়ে তিনি দিন রাত কাজ করছেন বলে জানান।তিনি বলেন আগের চেয়ে তাদের আয় কম হচ্ছে। কামার শিল্পের প্রধান জ্বালানি উপকরন হচ্ছে কাঠ কয়লা। কাঠ কয়লা কিছু দিন আগেও দুই শত টাকা বস্তা কিনেছেন। এখন কিনছেন আট শত টাকা বস্তা।

অপরদিকে লোহা তৈরী চাপাটি, দা ,বঠিদা, চাকু সহ নানান ধরনের ধারালো অস্ত্র প্রাথমিক ভাবে তৈরীর পর ধারালো করা ও পুরাতন ধারালো অস্ত্র গুলি বিদ্যুৎ চালিত মটর দিয়ে ষানের মাধ্যমে ষান দেওয়া হয় । গত দুদিন ধরে কোনো নেটিশ না দিয়ে এই প্রচন্ড গরমের মধ্যে, ধামরাই পল্লী বিদ্যুৎ অফিস বিদ্যুৎ বন্ধ রেখে কাজ করছেন। ফলে কামার শিল্পীরা কোরবানির প্রয়োজনীয় অস্ত্র গুলি যথা সময়ে সরবরাহ করতে হিমশিস খা্েচ্ছন। খদ্দেরদের গালমন্দ শুনছেন বলে জানান।

শিল্পী ইসমাইল হোসেন জানান অর্ধ শতাব্দি ধরে এই কামার শিল্পের কাজ করছেন। তিনি বলেন ঈদ এলেই কাজের চাপ বেড়ে যায়। আর এই আয় দিয়ে তার সংসার ভালই চলে।

(ডিসিপি/এসপি/আগস্ট ১৮, ২০১৮)