অনিবার্য অক্ষমতার দূরাস্ত চোখ


অকারনে চূর্ণতা জমায় শরত-মেঘ। কলতান মুখর
সেইসব প্রিয় অবসর কখন যেন ফাকি দিয়ে
এক অনিবার্যকে মেনে নিয়েছে। নিয়তি বলে কিছু নেই
যে এতদিন মেনেছিল, সে এখন বেলান্ত বসে ভাবে
এই গ্রীলের ওপারে মাথাটা বের করতে পারলেই
আকাশ-মেঘলা-জল ছোঁয়া যেত, অঢেল।

বুকের কপাটগুলো অতিশয় উদ্বিগ্ন, পেরুবার অক্ষমতাকে
কিছুতেই পেরুনো যায় না। এর বাইরে এক বিশালতা
তবু দৃষ্টি স্থবির, ক্রোধ ভিড় করে আছে বিদগ্ধ নাবিকের মতো।
শুধু পালাবার পথটাই অমন নির্ভার চেয়ে থাকে; চোখগুলো চেনা
তবু বিশ্বাসের খোদাই নকশা দেখলেই ঝুম-নিশা পিছু দাঁড়ায়।

অবচেতন বলতে কিছু নেই এখানে, পুড়ে গ্যাছে সব
পুড়িয়ে গ্যাছে যার আগমনধ্বনিতে লেখা হয়েছিল
একশ'টা রক্ত জবার নাম। এ এক ঠুনকো প্রতিরোধ!
টুকরো স্পর্শে গুড়িয়ে দেয়া যায় তবু আঙুলের অগ্রভাগে
সামর্থ্যের কোনো চিহ্ন অবশিষ্ট নেই।

সত্যিকার অবশিষ্ট বলে কিছু থাকে না
অবশিষ্টের নামেই নিজের সাথে নিজের প্রতারণা।