শরীয়তপুর প্রতিনিধি : ব্যাপক ভাঙ্গনের কবলে পরেছে শরীয়তপুরের নড়িয়ার মূলূফৎগঞ্জ-বাঁশতলা এলাকা। শনিবার দুপুর থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত একটি পাঁচতলা ভবন, একটি দোতলা বাড়ি, একটি জামে মসজিদ ও অন্তত এক কিলোমিটার পাকা সড়ক নদী গর্ভে চলে গেছে। এতে এলাকাবাসী চরম আতংক ও উৎকন্ঠিত হয়ে পরেছে। ভাঙ্গনের মুখে রয়েছে নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। একমাত্র পাকা সড়কটি বিলীন হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পরেছেন স্থানীয়রা।

এলাকাবাসী জানান, শনিবার সকালে পূর্ব নড়িয়া বাঁশতলা এলাকায় নড়িয়া-মুলফৎগঞ্জ-চন্ডিপুর সড়কের কিছু অংশ ভেঙে যায়। এর পর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাঁশতলা থেকে পূর্ব নড়িয়া মুলফৎগঞ্জ বাজার পর্যন্ত প্রধান সড়কের প্রায় এক কিমি অংশ সম্পূর্নভাবে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ফলে, নড়িয়া উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় মুলফৎগঞ্জ, কেদারপুর, সাধুর বাজার লঞ্চঘাট, নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, চন্ডিপুর, সুরেশ্বর, ঘড়িসার ইউনিয়ন, ভূমখাড়া ইউনিয়ন, কেদারপুর ইউনিয়নসহ নড়িয়া পৌরসভার তিনটি ওয়ার্ডে বাসিন্দাদের। একদিকে ভাঙ্গ আতংক অপর দিকে প্রধান সড়ক হাড়িয়ে বিপাকে পরেছে এরাকাবাসী ।

এদিকে শনিবার রাত সোয়া ৯ টার সময় হঠাৎ করে মুলফৎগঞ্জ বাজার সংলগ্ন হযরত খাজা মাঈনদ্দিন চিশতির নামাংকিত গাজী-কালু ৫ তলা ভবন, তৎসংলগ্ন দিলু খানের দোতলা বাড়ি, খান বাড়ি জামে মসজিদ নদী ভাঙ্গনের কবলে পরে পদ্মা গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।

মুলফৎগঞ্জ অবস্থিত নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর যাবতীয় চিকিৎসা সামগ্রী অন্যত্র সড়িয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে। সম্প্রতি স্থানীয় সংসদ সদস্যের উপস্থিতিতে উপজেলা প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য বিভাগের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা আজ রবিবার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সমন্বয় সভায় সিদ্ধান গ্রহন করবেন একটি বিকল্প স্থানে স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের জন্য।

নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মুনির আহমেদ খান বলেন, আমাদের হাসপাতাল থেকে পদ্মা নদীর দুরত্ব এখন মাত্র ৮০-৯০ ফিট। যে কোন সময় হাসপাতালের সবগুলো ভবন পদ্মা বক্ষে বিলীন হতে পারে। আমরা সব সময় আতংকের মধ্যে থাকছি। হাসপাতালটি বিলীন হয়ে গেলে এই এলাকার অন্তত ৪ লাখ মানুষের স্বাস্থ্য সেবা বিঘিœত হবে। আমরা কোন বিকল্প স্থানে হাসপতালের সমস্ত চিকিৎসা সামগ্রী স্থানান্তর করে চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আজ রবিবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সমন্বয় সভার মাধ্যমে নতুন স্থান নির্ধারনের বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।

(কেএনআই/এসপি/আগস্ট ১৯, ২০১৮)