স্টাফ রিপোর্টার : সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতির সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনের পর গ্রেফতার সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ, ফারুক হোসেন, এ পি এম সুহেল ও সাখওয়াত হোসেন রাতুলসহ সাত জনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারীর আদালতে তাদের জামিন আবেদন করেন আইনজীবী জায়েদুর রহমান। আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।

আরও যে তিনজনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়েছে তারা হলেন- তরিকুল ইসলাম, মশিউর রহমান ও জসিম উদ্দিন।

আইনজীবী জায়েদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ভিসির বাসা ভাঙচুর,পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা ও আইসিটি আইনে দায়র করা তিন মামলায় তাদের জামিন আবেদন করা হয়। এর মধ্যে শাহবাগ থানার আইসিটি আইনে ও ভিসির বাসা ভাঙচুরের মামলায় রাশেদের জামিন আবেদন করা হয়। ভিসির বাসা ভাঙচুরের মামলায় জামিনের আবেদন করা হয় সুহেল, মশিউর ও জসিমের। এ ছাড়া পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা দেয়ার ঘটনায় করা মামলায় জামিনের আবেদন করা হয় ফারুক ও তরিকুলের।এ ছাড়াও ভাঙচুর ও আইসিটি আইনের মামলায় জামিনের আবেদন করা হয় রাতুলের।

উল্লেখ্য, গত ৮ এপ্রিল কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে দায়িত্বরত পুলিশকে মারধর, কর্তব্যে বাধা, পুলিশের ওয়াকিটকি ছিনতাই ও ভিসির বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনার অভিযোগে ১০ এপ্রিল শাহবাগ থানায় চারটি মামলা হয়। এর মধ্যে পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা করে।

আর ভিসির বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র সিকিউরিটি অফিসার এসএম কামরুল আহসান বাদী হয়ে আরও একটি মামলা করেন। তবে চার মামলায় আসামিদের নাম ও সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি। এ ছাড়াও কোটা নিয়ে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে আরেকটা মামলা করে।

(ওএস/এসপি/আগস্ট ২০, ২০১৮)