রঞ্জন কৃষ্ণ পন্ডিত, টাঙ্গাইল : বঙ্গবন্ধু সেতু-ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে এবার ঈদে কোন যানজট না থাকায় নির্বিঘেœ যান চলাচল করছে। ঈদে ঘরমুখো মানুষ ব্যস্ততম এই মহাসড়কে ভোগান্তি ছাড়াই সহজে যাতায়াত করতে পারছেন। মহাসড়কে যানজট নিরসনে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় এক হাজার সদস্যের সার্বক্ষণিক কর্ম তৎপরতায় মহাসড়কে স্বাভাবিক গতিতে যানবাহন চলাচল করছে। সোমবার সকালে মহাসড়কের ধলাটেংগর ও জোকারচর এলাকায় পৃথক ২টি দূর্ঘটনায় ২টি ট্রাক বিকল হয়ে গেলে প্রায় এক ঘন্টা রাবনা বাইপাস থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ১৫ কি.মি. দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তাৎক্ষণিক পদক্ষেপে এক ঘন্টার মধ্যেই যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যায়। যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও স্বাভাবিক গতিতে যানবাহন চলাচল করছে। 

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ‘মহাসড়কে যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও কোথাও তেমন কোন যানজট সৃষ্টি হয়নি। মহাসড়কে জেলা পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ এবং হাইওয়ে পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ঈদ মানেই বঙ্গবন্ধু সেতু-ঢাকা মহাসড়কে তীব্র যানজট, ঘরমুখো মানুষের চরম ভোগান্তি। গত কয়েক বছর যাবত মহাসড়কে চারলেন প্রকল্পের কাজ চলমান থাকায় উত্তরবঙ্গসহ ২৩টি জেলার মানুষের ভোগান্তির শেষ ছিল না। মহাসড়কে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে গাজীপুরের ভোগড়া পর্যন্ত প্রায় ৭০কি.মি. এলাকা জুড়ে ছিল খানাখন্দক আর নানা প্রতিবন্ধকতা। এ কারণে প্রায় প্রতিদিনই যানজটের রোষানলে পড়তে হত যাত্রীদের। এছাড়া সড়ক দুর্ঘটনা ছিল নিত্য-নৈমিত্তিক ঘটনা।’

এ ব্যাপারে এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের সার্জেন্ট আজিজুর রহিম তালুকদার বলেন, ঈদ যাত্রায় মহাসড়কে কোন চাপ নেই, নেই যানজটও। মহাসড়ক প্রায়ই ফাঁকা অবস্থায় দেখা যায়। সোমবার সকালে বঙ্গবন্ধু সেতু সংলগ্ন এলাকা ধলাটেংগর ও জোকারচরে দূর্ঘটনায় ২টি ট্রাক বিকল হয়ে গেলে অল্প কিছু সময়ের জন্য যানজটের সৃষ্টি হলেও পুলিশের যথোপযুক্ত পদক্ষেপে নিমিষেই যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যায়।

টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় বলেন, বিগত সময়ের তুলনায় এবার ঈদ যাত্রায় ঘরমুখো মানুষ ভোগান্তি ছাড়াই নির্বিঘেœ বাড়ী পৌঁছতে পারবে। মহাসড়কে যানজট নিরসনকল্পে পুলিশের পক্ষ থেকে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি মহাসড়কে সাদা পোশাকে পুলিশের লোক রয়েছে।

(আরকেপি/এসপি/আগস্ট ২০, ২০১৮)