খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : জেলার দীঘিনালা উপজেলার বাবুছড়া এলাকার ৫১ বিজিবি‘র ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তর স্থাপন নিয়ে স্থানীয় পাহাড়ীদের সাথে সৃষ্ট উদ্ভদ পরিস্থিতি দেখতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির একটি প্রতিনিধি দল।

সোমবার বিকালে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি‘র নেতৃত্বে ৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দীঘিনালা সফরে আসেন।
প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন আদিবাসী বিষয়ক সংসদীয় ককাস‘র আহ্বায়ক ফজলে হোসেন বাদশা এমপি, পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, ফিরোজা বেগম চিনু এমপি, মো. ইয়াছিন আলী এমপি, কাজী রোজি এমপি, মুস্তফা লুৎফুল্লা এমপি। এছাড়াও রয়েছেন আদিবাসী বিষয়ক সংসদীয় ককাসের টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য জান্নাত-এ-ফেরদৌসী। পরিদর্শনের শুরুতে প্রতিনিধি দল বাবুছড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেয়া ২১ পরিবারের সাথে কথা বলেন। এ সময় আশ্রিতরা প্রতিনিধি দলের কাছে গত ১০ জুন ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর ঘটনা বর্ণনা দেন।
এরপর প্রতিনিধি দলটিকে নব গঠিত ৫১ বিজিবি ব্যাটালিনের কার্যক্রম ঘুরে দেখেন এবং বিজিবি কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে বিস্তারিত খোঁজ খবর নেন। এসময় বিজিবি ব্যাটালিয়ন স্থাপনসহ নানা বিষয়ে প্রতিনিধি দলকে অবহিত করেন দক্ষিণ পূর্ব অঞ্চলের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ আহম্মেদ আলী।
এদিকে বিজিবি ব্যাটায়িন পরিদর্শনকালে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি‘র জানান, ‘৫১ বিজিবি ব্যাটালিয়ন স্থাপন নিয়ে স্থানীদের সাথে ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর ঘটনা সম্পর্কে আমরা জেনেছি। বাবুছড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেয়া পরিবারগুলোর সাথে আমরা কথা বলেছি। এতে যা বুঝতে পেরেছি এটি একটি মানবিক সমস্যা। এবং মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে।’
সফরকালে প্রতিনিধি দলটি মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক ও খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডারের সাথে সাক্ষাৎ শেষে খাগড়াছড়ি ত্যাগ করার কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১০ জুন দীঘিনালার বাবুছড়া এলাকায় ৫১ বিজিবি ব্যাটালিয়ন স্থাপন নিয়ে নিয়ে স্থানীয়দের সাথে বিজিবি-পুলিশের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। এতে ৩ বিজিবি সদস্যসহ আহত হন ১৭ জন। এই ঘটনায় বিজিবির পক্ষে সুবেদার মেজর মো. গোলাম রসুল ভূইয়াঁ বাদী হয়ে দীঘিনালা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১শ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে আরো এক থেকে দেড়শ জনকে অজ্ঞাত দেখানো হয়।
(এডি/এএস/জুলাই ১৫, ২০১৪)