স্পোর্টস ডেস্ক : লা মাসিয়ার গ্র্যাডুয়েট হিসেবে লিওনেল মেসি ছিলেন বার্সেলোনারই ঘরের ছেলে। ২০০৪ সালেই ফ্রাঙ্ক রাইকার্ডের হাত ধরে স্প্যানিশ লা লিগায় অভিষেক ঘটে আর্জেন্টাইন এই সুপার স্টারের। সেবার মাত্র ৭ ম্যাচ খেলে করেন ১ গোল। এরপর ২০০৫-০৬ মৌসুম থেকেই নিয়মিত বার্সা স্কোয়াডে। ওই মৌসুম থেকেই একটা ঐতিহ্য চালু করে দিয়েছেন মেসি, যা আজ অবধি ধরে রেখেছেন তিনি।

২০০৫-০৬ মৌসুমের পর মাঝে কেটে গেছে আরও ১৩টি মৌসুম। নতুন মৌসুমের শুরুতে এসেই আগের ১৩ মৌসুমের ঐতিহ্য ধরে রাখলেন তিনি। লিগের প্রথম ম্যাচেই করলেন গোল। ২০০৫ সালের পর গত ১৪ বছরে লিগের প্রথম ম্যাচে গোল করবেনই মেসি, এটা যেন রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছিল। আলাভেসের বিপক্ষে শনিবার রাতে জোড়া গোল করে বার্সাকে জয় এনে দেন, ক্লাবের নতুন অধিনায়ক।

ম্যাচের ৬৪ মিনিটে দুর্দান্ত এক ফ্রি কিক থেকে গোল করেন মেসি। সে সঙ্গে কয়েকটা রেকর্ড একসঙ্গে লিখে ফেলেন তিনি। টানা ১৪ মৌসুম লিগের প্রথম ম্যাচে গোল করার সঙ্গে সঙ্গে বার্সার ক্লাব ইতিহাসে ৬ হাজারতম গোলটাও ইতিহাসের পাতায় লিখে ফেলেন মেসি। এরপর আরও একটি গোল করেছিলেন তিনি।

৯ বছর আগে বার্সার ক্লাব ইতিহাসে ৫ হাজারতম গোলও করেছিলেন মেসি। শুধু তাই নয়, মেসিই লা লিগার ইতিহাসে প্রথম ফুটবলার যিনি টানা ১৫টি লিগ ম্যাচে গোলের দেখা পেয়েছেন।

কোচ আর্নেস্তো ভালভার্দে যে চোখ বন্ধ করে মেসির ওপর আস্থা রাখতে পারেন, সেটা আলাভেসের বিপক্ষে এই ম্যাচই প্রমাণ করে দিলো। শুধু তাই নয়, মেসি যে সত্যি সত্যি একজন কিংবদন্তি, সেটা আবওর দেখিয়ে দিলেন। দিনে দিনে নিজেকে তিনি নিয়ে যাচ্ছেন অন্য উচ্চতায়।

বার্সায় তার গোল সব সময়ই গুরুত্বপূর্ণ এবং তার গোলেই নির্ধারিত হয় জয়-পরাজয়। জোড়া গোল করে সেটাই আবার প্রমাণ করলেন। টানা ১৪টি লিগ শুরুর ম্যাচে গোল করার সঙ্গে তার ৬টি গোল এমন ছিল, যা একেবারে দলের হয়েও প্রথম।

তবে মেসির এই ম্যাচজয়ী গোল পারফরম্যান্সের সঙ্গে তার বাকি সতীর্থদের চিত্র তুলে ধরলে তাতে হতাশই হতে হবে। যেমন লুইস সুয়ারেজ। আলাভেসের বিপক্ষে আবারও তাকে দেখা গেছে পুরোপুরি অফ ফর্মে।

(ওএস/এসপি/আগস্ট ২০, ২০১৮)