স্টাফ রিপোর্টার : অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, আগামী সেপ্টেম্বর থেকে সিলেটের বাদাঘাটে নবনির্মিত কেন্দ্রীয় কারাগারের স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু হবে।

এবারের ঈদ আমার রাজনৈতিক জীবনের সর্বশেষ ঈদ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমার বয়স হয়েছে। শারীরিক কারণে আর পারছি না। ভবিষ্যতে আর কোনো নির্বাচনে অংশ নেয়ার ইচ্ছা নেই।

মঙ্গলবার বিকেলে সিলেটের বাদাঘাটে নতুন কারাগার ও নগরের জেলরোডস্থ পুরাতন কারাগার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।

আবদুল মুহিত বলেন, পুরাতন কারাগারের ভেতরে ১০টি ঐতিহাসিক স্থান রয়েছে। সেগুলো সংরক্ষণ করে পুরাতন কারাগারে পরিকল্পনা অনুযায়ী পার্ক নির্মাণ করা হবে। পুরাতন কারাগারের অভ্যন্তরে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি সংরক্ষণের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু মিউজিয়াম করার পরিকল্পনা রয়েছে।

এ সময় অর্থমন্ত্রী সিলেটসহ দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান। বিশেষ করে নিজের নির্বাচনী এলাকার মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, সিলেটের জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করায় তাদের প্রতিনিধি হিসেবে দেশ-বিদেশে অবদান রাখার সুযোগ হয়েছে।

পরে অর্থমন্ত্রী সিলেট বিমানবন্দর-বাদাঘাট বাইপাস সড়ক ও তেমুখি-বাদাঘাট সড়ক দ্রুত সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দেন।

কারাগার পরিদর্শনকালে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন- জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ড. একে আবদুল মোমেন, সিলেট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ, সহসভাপতি ও সিলেট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, সিলেটের সিনিয়র জেল সুপার ও ভারপ্রাপ্ত ডিআইজি প্রিজন মো. আব্দুল জলিল, সিলেট মহানগর পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কমিশনার পরিতোষ ঘোষ, সিলেটের জেলা প্রশাসক নূমেরী জামান, স্থানীয় সরকার বিভাগ সিলেটের পরিচালক দেবোজিৎ সিংহ, সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. হিমাংশু লাল রায়, সড়ক ও জনপথ বিভাগ সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী উৎপল সামন্ত, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ, সিলেট জেলা পরিষদ সদস্য মোহাম্মদ শাহনূর ও মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক আলম খান মুক্তি প্রমুখ।

(ওএস/পিএস/আগস্ট ২১, ২০১৮)