স্টাফ রিপোর্টার: ঈদ উদযাপনের গল্প বলতে গিয়ে শৈশবের স্বর্ণালি দিনগুলোতেই যেন ফিরে গেলেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের তারকা ক্রিকেটার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ওই সময় তার বাবা ময়মনসিংহ জেলা ক্রীড়া সংস্থার চাকরিজীবী আবুল কাশেম জীবিত ছিলেন। হাট-বাজার, কেনাকাটা সবখানেই বাবার সঙ্গী হতেন মোসাদ্দেক।

ঈদের দিন সকালে বাবার হাত ধরে যেতেন ঈদগাহে। বাবার অনুপস্থিতিতে জ্যেষ্ঠ সন্তান হিসেবে এখন তিনিই পরিবারের ‘কর্তা’।

বাবার মতোই দুই ভাইকে সঙ্গে নিয়ে ঈদের নামাজ আদায় শেষে পশু কোরবানি করা, পাড়া প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে মাংস বণ্টন করা আর সন্ধ্যার পর বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরাঘুরি করা হয়। এসবের মধ্যে দিয়েই ত্যাগের মহিমায় ঈদুল আজহা উদযাপন করেন সৈকত ডাকনামের এই ‘বিস্ময়কর’ অলরাউন্ডার।

বুধবার (২২ আগস্ট) রাতে শহরের কাঁচিঝুলি গোলাপজান রোডের নিজ বাসায় বসে আলাপ হচ্ছিল মোসাদ্দেকের সঙ্গে।

দেশের শততম টেস্টে অর্ধ শতক হারিয়ে দুর্দান্ত রেকর্ডের জন্ম দেওয়া এই ক্রিকেটারের মনে এখনও জ্বলজ্বল করে আছে শৈশবের কোরবানির ঈদের স্মৃতি।

নিজের পূর্ণ মনোবল, একাগ্রতা, নিষ্ঠা ও দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে সংগ্রামমুখর জীবনের পথ মাড়িয়ে এখন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম ‘বিজ্ঞাপন’ হতে চলেছেন মোসাদ্দেক।

শৈশবের স্মৃতি হাতড়ে তিনি বলেন, ছোটবেলার ঈদ ছিল অনেক আনন্দের। মনে পড়ে, এলাকায় ওই সময় কোনো গরু কেনা হলে পেছন পেছন ছুটতাম। কোরবানির দিন আমার টার্গেট থাকতো গরুর মাথায় ধরা।

(ওএস/পিএস/আগস্ট ২৩, ২০১৮)