উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ ডেস্ক : ৮নং সেক্টরে পাকবাহিনীর একটি কোম্পানী নাটোদা থেকে মুজিবনগরের দিকে অগ্রসর হলে মুক্তিবাহিনীর একটি দল নায়েব সুবেদার আবদুল মতিন পাটোয়ারীর নেতৃত্বে বাগুয়ানে এবং আর একটি দল মানিক নগরে শত্রুসেনাদের এ্যামবুশ করে। প্রায় আড়াইঘন্টা ব্যাপী এই যুদ্ধে ৯ জন পাকসেনা নিহত ও অনেকে আহত হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের গুলির মুখে পাকসেনারা পিছু হটতে বাধ্য হয়। এই যুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর একজন যোদ্ধা আহত হয়।

মুক্তিবাহিনী কুমিল্লার সি এন্ড বি রোডের কালামুড়া ব্রিজে অবস্থাররত রাজাকারদের ওপর আক্রমণ চালায়। এতে ৭ জন রাজাকারের সবাই আত্মসমর্পন করে এবং মুক্তিযোদ্ধারা প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র দখল করে। পরে মুক্তিযোদ্ধারা কালামুড়া ব্রিজটি ধ্বংস করে।

সুবেদার আবদুল ওয়াহাবের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা দল কালামুড়া ব্রিজের ২ মাইল দক্ষিণে মাধবপুর ও মীরপুরের মাঝখানে পাকসৈন্য ভর্তি ২টি স্টেট বাস, ৩টি জীপ ও ২টি ডজ এ্যামবুশ করে। মুক্তিযোদ্ধাদের তীব্র আক্রমণে পাকবাহিনীর সবকটি গাড়ী ধ্বংস হয় এবং বহু পাকসৈন্য নিহত হয়। একজন রাজাকার ও তিনজন পাকসৈন্য অস্ত্রশস্ত্রসহ ধরা পড়ে।

মুক্তিবাহিনী সাতক্ষীরায় রাজাকারদের আশাশুনি ক্যাম্প আক্রমণ করে। এই আক্রমণে রাজাকারদের ক্যাম্পটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয় এবং অনেক রাজাকার নিহত হয়।

জামায়াতে ইসলামীর মহাসচিব চৌধুরী রহমত লাহোরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, দেশ থেকে শাসন তুলে কোনো বেসামরিক সরকার প্রতিষ্ঠার সময় এখনো আসেনি।

পূর্ব পাকিস্তান নেজামে ইসলাম দলের জেনারেল সেক্রেটারী মওলানা আশরাফ আলী ঢাকায় এক বিবৃতিতে বলেন, সীমান্ত এলাকায় নিরীহ জনগণের ওপর ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীরা অত্যাচার করছে।

পাক সরকার জানায়, পচাগড়া, সাতক্ষীরা, ঝিকরগাছা, ঠাকুরগাঁও, সিলেট ও কুমিল্লায় ৫শ’ অমুসলিমসহ ৫ হাজার ৪শ’ উদ্বাস্তু ফিরে এসেছে ভারতীয় অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে।

তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।
(ওএস/এএস/আগস্ট ২৪, ২০১৮)