স্টাফ রিপোর্টার: একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় হলে তারা (বিএনপি) নতুন করে সংকটে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

বনানীতে আইভি রহমানের ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর শুক্রবার (২৪ আগস্ট) সকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে, হাওয়া ভবনের সরাসরি পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় সেদিন ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। এখন এই মামলার রায় হচ্ছে, এজন্য সবাই খুশি। বিএনপি কেবল অখুশি। সেপ্টেম্বরে রায় হওয়ার একটা সম্ভাবনা আছে। এ কথা শুনে বিএনপি চিন্তিত। তারা জড়িত বলে তাদের এই গাত্রদাহ। কারণ রায় বের হলে তারা নতুন করে সংকটে পড়বে। তারা এমনিতেই সংকটে রয়েছে’।

নির্বাচন প্রতিহতে বিএনপির বক্তব্যের বিষয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, তারা কি প্রতিহত করবে। তারা নির্বাচন প্রতিহত করতে চাইলে জনগণ তাদের প্রতিহত করবে।

রায়ের আগে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য রায়ে প্রভাব ফেলবে বিএনপির এমন বক্তব্যের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি তো বুঝতে পারলাম না, কিভাবে প্রভাব পড়বে? আমিসহ ৫০০ জন তো এখনও পঙ্গু। কেউ অর্ধপঙ্গু, কেউ পুরোপঙ্গু। এই হত্যাকাণ্ডের কি বিচার হবে না? বিএনপি তো আলামত পুড়িয়ে ফেলেছিল। এফবিআইকে তদন্ত করতে দেয়নি। স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডকে আসতে দেয়নি। জজমিয়া নাটক সাজিয়েছিল। এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের, এই নৃশংস গ্রেনেড হামলা যা রক্তস্রোত বইয়ে দিয়েছিল বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে- এর বিচার তো তারা করেনি। প্রহসনমূলক একটা তদন্ত কমিটি করেছিল। সেই তদন্ত কমিটির রিপোর্ট ছিল হাস্যকর’।

তৎকালীন সরকার এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কারণ তারা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। হত্যাকারী যেই হোক, যত প্রভাবশালী হোক, ক্ষমা পাবে না। বিচারের রায় আমরা প্রভাবিত করতে চাই না। নিরপেক্ষভাবে বিচার হবে। বিচারে যারাই দোষী সাব্যস্ত হবে, শাস্তি তাদের পেতেই হবে’।

এর আগে ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ এবং দলের সহযোগী সংগঠন এবং আইভি রহমানের পরিবারের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাহারা খাতুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, একেএম এনামুল হক শামীম, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী প্রমুখ।

(ওএস/পিএস/আগস্ট ২৪, ২০১৮)