উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ ডেস্ক : ক্যাপ্টেন দিদারুল আলমের নেতৃত্বে এক প্লাটুন মুক্তিযোদ্ধা কুমিল্লার উত্তরে জামবাড়িতে পাকসেনাদের একটি কোম্পানীকে মর্টারের সাহায্যে আক্রমণ করে। এই আকস্মিক আক্রমণে পাকসেনারা ছত্রভঙ্গ হয়ে পালাবার চেষ্টা করে। এ্যামবুশ দল পলায়নপর পাকসেনাদের ওপর মর্টারগুলি বর্ষণ করলে ৩০ জন নিহত ও ১০ জন আহত হয়। অবশিষ্ট পাকসেনারা পালিয়ে যায়।

মুক্তিবাহিনীর এ্যামবুশ দল কুমিল্লার সি এন্ড বি সড়কে পাকবাহিনীর একটি ডজ গাড়ী এ্যামবুশ করে। এই এ্যামবুশে ডজ গাড়ীটি ধ্বংস হয় এবং ডজের আরোহী একজন হাবিলদারসহ ৪ জন পাকসেনা বন্দী হয়। মুক্তিযোদ্ধারা এ অভিযান থেকে ৬টি রাইফেল, ২২৫রাউন্ড গুলি, ২টি পিস্তল ও ৩টি গ্রেনেড হস্তগত করে।

সিলেটে কুকিতল সাব-সেক্টরের অসমসাহসী আতিকুল হক পনীর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা দল পাকবাহিনীর দিলখুশার অগ্রবর্তী ক্যাম্পের ২শ’ গজ এলাকা জুড়ে এ্যামবুশ পাতে। ভোরে আজানের বেশ পরে পাকসেনারা একজন একজন করে বাঙ্কার থেকে বের হতে থাকে। এভাবে পাকসেনাদের কমান্ডার বের হওয়ায় সাথে সাথেই মুক্তিযোদ্ধা পনীরের গুলিতে তার বুক বিদীর্ণ হয়। মুহুর্তে গর্জে ওঠে মুক্তিযোদ্ধাদের আগ্নেয়াস্ত্র। আধ মিনিট পর আবার সবকিছু স্তব্ধ। এই স্তব্ধতার সুযোগে আর একজন সৈন্য বাঙ্কার থেকে বের হলে সঙ্গে সঙ্গে মুক্তিবাহিনীর একঝাঁক গুলি নিক্ষিপ্ত হয়েই মুহুর্তে বিরতি। এভাবে মুক্তিবাহিনী থেকে থেকে আক্রমণ চালালে ৬ জন পাকসেনা নিহত হয়।

২নং সেক্টরে পাকবাহিনীর এক প্লাটুন সৈন্য ব্রাহ্মণপাড়া থেকে ধানদইল গ্রামের দিকে অগ্রসর হলে মুক্তিবাহিনীর একটি পেট্রোল পার্টি ধানদইল গ্রামে এ্যামবুশ পাতে। পাকসেনারা এ্যামবুেশর মধ্যে এসে পড়লে মুক্তিযোদ্ধারা তীব্র আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে একজন ক্যাপ্টেনসহ ১০ জন পাকসেনা নিহত হয়। অপর পাকসেনারা ছত্রভঙ্গ হয়ে পালিয়ে যায়।

জামায়াতের প্রাদেশিক আমীর গোলাম আজম পেশোয়ারে বলেন, সেনাবাহিনী বিদ্রোহীদের বিশ্বাসঘাতকতা থেকে পূর্ব পাকিস্তানকে রক্ষা করেছে। দুষ্কৃতকারী ও অনুপ্রবেশকারদের খতম করার জন্য পূর্ব পাকিস্তানের জনসাধারণ সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছেন।

ওয়াশিংটন পোস্টের স্টিফেন ক্লাইভম্যান পরিবেশিত এক বিশেষ বিবরণে নিক্সন সরকারের অফিসিয়ালদের বরাত দিয়ে বলা হয়, ‘ঐক্যবদ্ধ পাকিস্তান রক্ষা করাই মার্কিন সরকারের নীতি।’

তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।

(ওএস/পিএস/আগস্ট ২৫, ২০১৮)