রংপুর প্রতিনিধি : রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের সিও বাজার এলাকায় দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে মারা গেছে সাতজন। আশঙ্কাজনক রয়েছে আরও পাঁচজন। যাত্রীবোঝাই একটি অটোরিকশাকে বাঁচাতে গিয়ে রবিবার বেলা ১২টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

আহতদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আহত-নিহতদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠছে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ক্যাম্পাস।

এদিকে, দুর্ঘটনার কারণ খুঁজে বের করে দোষীদের ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানায় প্রশাসন। বাস দুটিকে জব্দ করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, বগুড়া থেকে ছেড়ে আসা একটি বিআরটিসি বাস রংপুরের সিও বাজার পৌঁছলে দিনাজপুর থেকে ছেড়ে আসা দ্রুতগামী একটি মিনি কোচকে সাইড দিতে গিয়ে বিআরটিসি বাসের সামনে পড়ে যায় যাত্রীবোঝাই একটি অটোরিকশা। ওই অটোরিকশার যাত্রীদের বাঁচাতে গিয়ে মুখোমুখি সংঘর্ষে দুমড়ে মুচড়ে যায় বিআরটিসি বাসটি। এতে ঘটনাস্থলেই দুইজন এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় আরও পাঁচজন।

জানা গেছে, নিহতের মধ্যে একজন পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী সুমি বেগম রয়েছেন। অন্যরা হলেন নীলফামারী সৈয়দপুরের অমিজন বেগম (৪৫), ঠাকুরগাঁওয়ের আব্দুর রহমান, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার রোখসানা, শামিম মিয়া, পঞ্চগড়ের নুরবানু। এছাড়াও একজন শিশু রয়েছে তার নাম জানা যায়নি।

বিআরটিসি বাসে থাকা আহত যাত্রী আফতার আলী ও তার ভাই ছাত্তার আলী জানান, তারা দুই ভাই এবং মামাসহ চার লাখ টকা নিয়ে গরু কেনার জন্য ঠাকুরগাঁও যাচ্ছিলেন। রংপুরে এই দুর্ঘটনা ঘটে। তারা বলেন, দিনাজপুর থেকে আসা বাসটির স্পিড ছিল বেশি। এজন্য আমাদের বাসের ক্ষতি বেশি হয়।

ঘটনাস্থলের পাশেই থাকা রহিম, শাহিনুর রহমান জানান, যখন দুর্ঘটনা ঘটে তথন তাদের পাশেই ছিলেন। সড়কে একটি অটোরিকশা ছিল। ওই অটোরিকশাকে সাইড দিতে যায় বিআরটিসি বাসটি। আর অন্য পাশ থেকে আসে একটি বাস। ওই বাসের স্পিড খুব বেশি ছিল। তাই এত বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে।

দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসার খোঁজ খবর নিতে যান পুলিশের রংপুর রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মজিদ আলী। তিনি বলেন, এই দুর্ঘটনা কেন হয়েছে, কীভাবে ঘটনা ঘটেছে, এর জন্য দায়ী কে তা খুঁজে বের করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

দুর্ঘটনা কবলিত বাস দুটিকে জব্দ করা ছাড়াও সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৮)