কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : পেটের মধ্যে প্রায় ছয় ইঞ্চি ছুরি ঢুকিয়ে দেয়ায় স্কুল ছাত্রী তুলি আক্তারের (১৪) খাদ্যনালীতে অনেকগুলো ছিদ্র হয়ে গেছে। কয়েকটি রক্তনালী কাটা গেছে। কিন্তু চিকিৎসকদের আন্তরিকতায় শনিবার গভীর রাতে বরিশাল-শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তুলির অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে। তার পেট থেকে ছুরিটি বের করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও তার জীবন সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে বিশেষ পরিচর্যায় রাখা হয়েছে।

গত শনিবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার ধুলাসার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গেটের সামনের সড়কে প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় এই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী তুলি আক্তারকে তলপেটে চাকু ঢুকিয়ে দেয় বখাটে নাঈম। স্থানীয়রা নাঈমকে আটক করে মহিপুর থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। ধুলাসার ইউনিয়নের পূর্ব ধুলাসার গ্রামের সলেমান সোনারের ছেলে নাঈম গত বছর একই বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে ফেল করে।

ধুলাসার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী তুলির ইচ্ছা উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দিনমজুর বাবা-মাসহ ভাই-বোনের সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনবে। কিন্তু বখাটে নাঈম সেই পথকে রুদ্ধ করে দেয়। প্রেমে ব্যর্থ হয়ে তুলিকে শেষ করতে হত্যা চেষ্টা চালায়।

মহিপুর থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান জানান, মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হত্যাচেষ্টার বেশকিছু আলামত জব্দ করা হয়েছে।

এদিকে প্রকাশ্যে স্কুল ছাত্রীকে ছুরিকাঘাত করে জখম করার ঘটনায় উদ্বিগ্ন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের ভয় ও আতংক কাটাতে রোববার সকালে ধুলাসার আলহাজ্ব জালাল উদ্দিন কলেজ মিলনায়তনে কমিউনিটি পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ধুলাসার ইউপি চেয়ারম্যান জলিল আকনের সভাপতিত্বে সভায় সচেতনতামূলক বক্তব্য রাখেন কলাপাড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জালাল উদ্দিন, কলাপাড়া থানার ওসি মো.জাহাঙ্গীর হোসেন, মহিপুর থানার ওসি মিজানুর রহমান, কলাপাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আলী আহম্মেদ, বালিয়াতলী ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির, ধুলাসার মাধ্যমিক বিদ্যালয়েরম্যানেজিং কমিটির সদস্য মো. জামান হোসেন, অভিভাবক রাকিবুল ইসলাম প্রমুখ।

(এমকেআর/এসপি/সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৮)