স্টাফ রিপোর্টার : ধর্মকে ব্যবহার করে কেউ যাতে সমাজে বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে না পারে, সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

রবিবার জন্মাষ্টমী উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বী ও সমাজের বিশিষ্টজনের সঙ্গে বঙ্গভবনে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি।

হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃতবৃন্দসহ অনেকেই ফুল দিয়ে রাষ্ট্রপতিকে শুভেচ্ছা জানান এবং তার সঙ্গে করমর্দন করেন। এসময় রাষ্ট্রপতি হিন্দু নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের খোঁজখবর নেন।

অন্যদের মধ্যে ভারতের হাই কমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা, রামকৃষ্ণ মঠের অধ্যক্ষ স্বামী ধ্রুবেশানন্দ মহারাজ এসেছিলেন বঙ্গভবনের এ আয়োজনে। ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মো. মতিউর রহমানও এসময় উপস্থিত ছিলেন।

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্মাষ্টমীর শুভেচ্ছা জানিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, ‘ধর্ম মানুষকে সত্য ও ন্যায়ের পথ দেখায়। মানবকল্যাণে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে। কোনো ধর্মই জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ বা সন্ত্রাসবাদ সমর্থন করে না।’

‘তাই ধর্মকে ব্যবহার করে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যাতে সামাজিক শৃঙ্খলায় বিঘ্ন ঘটাতে না পারে সেদিকে সকলকে সজাগ থাকতে হবে এবং কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা করলে তা সামাজিকভাবেই প্রতিহত করতে হবে।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, সমাজ থেকে অন্যায়-অত্যাচার, নিপীড়ন ও হানাহানি দূর করে মানুষে মানুষে অকৃত্রিম ভালোবাসা ও সম্প্রীতির বন্ধন গড়ে তোলাই ছিল শ্রীকৃষ্ণের মূল ভাবনা।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের সুমহান ঐতিহ্য। আদিকাল থেকে দেশের হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানসহ সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও পারস্পরিক সহমর্মিতার ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে এ ঐতিহ্য।’

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের অংশগ্রহণ এ দেশের মানুষের বিজয়কে ত্বরান্বিত করেছে। তাই যে কোনো মূল্যে সম্প্রীতির এই ঐতিহ্যকে অব্যাহত রাখতে হবে এবং বঙ্গবন্ধুর সুখী-সমৃদ্ধ স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে এ চেতনাকে কাজে লাগাতে হবে।

সমাজে বিদ্যমান সম্প্রীতি ও মৈত্রীর বন্ধনকে আরও দৃঢ় করে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে দেশের সকল ধর্মাবলম্বীদের প্রতি আহবান জানান রাষ্ট্রপতি।

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৮)