আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালনায় ব্যর্থতার অভিযোগ এনে পাকিস্তানকে আর্থিক সহায়তা বন্ধ করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ৩০০ মিলিয়ন ডলারের এই অর্থ দেশের জরুরি খাতে ব্যয় করা হবে বলে জানিয়েছে পেন্টাগন।

শনিবার পেন্টাগনের মুখপাত্র কন ফকনার জানান, মার্কিন ‌যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ এশিয়া নীতির পাশে না থাকার জন্য পাকিস্তানের জন্য রাখা ৩০০ মিলিয়ন ডলার সাহা‌য্য অন্য খাতে খরচ করা হবে। এব্যাপারে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নিয়েছে বলেও জানান তিনি।

এর আগে জঙ্গিদমনে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার জন্য পাকিস্তানকে দুই কিস্তিতে ৮০০ মিলিয়ন ডলার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু কথা মতো যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ায় চলতি বছরের মার্চে পাকিস্তানকে ৫০০ মিলিয়ন ডলার অর্থ সরবরাহ বন্ধ করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এবার সেই প্রতিশ্রুত অর্থের দ্বিতীয় কিস্তির ৩০০ মিলিয়ন ডলারও বন্ধ করল ট্রাম্প প্রশাসন।

এ বছরের শুরুতে পাকিস্তানের জন্য রাখা ২ বিলিয়ন ডলার অপর একটি অর্থ সহায়তা সাময়িক বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করে মার্কিন ‌যুক্তরাষ্ট্র। তবে সেটি বন্ধ করে দেয়া হবে কি-না সে বিষয়ে মার্কিন কংগ্রেস সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানান পেন্টাগন মুখপাত্র।

জানুয়ারিতে পাকিস্তানকে দেয়া অর্থ সহায়তা কমিয়ে আনার ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগস্টে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও'র পাকিস্তান সফর করার কথা থাকলেও সেটিও বাতিল করা হয়। এরইমধ্যে এই অর্থ সহায়তা বন্ধের ঘোষণা দিলো যুক্তরাষ্ট্র।

বড় ধরনের এই অর্থ সহায়তা বন্ধের পর ইমরান খানের সদ্য গঠিত সরকার বেকায়দায় পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও এই অর্থ সহায়তা বন্ধের জন্য তার প্রশাসনের দায় নেই। কারণ, পাকিস্তানের গত সরকারের কর্মকাণ্ড বিচার করেই এমন সিদ্ধান্ত দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৮)