স্টাফ রিপোর্টার : দেশের বিরুদ্ধে কথা বলা ও ‘উসকানিমূলক মিথ্যা’ প্রচারের অভিযোগে তথ্য প্রযুক্তি আইনের মামলায় গ্রেফতার আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলমের জামিন চেয়ে করা আবেদনের শুনানির জন্য আগামীকাল মঙ্গলবার দিন ঠিক করেছেন হাইকোর্ট।

সোমবার শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি খোন্দকার দিলুরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই দিন ঠিক করে আদেশ দেন। আজ আদালতে শহিদুল আলমের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন ও ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ূয়া।

এর আগে গত ২৮ আগস্ট শহিদুল আলমের জামিন চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। সারা হোসেন জানান, আজ শহিদুল আলমের পক্ষে জামিনের আবেদন হাইকোর্টের (কজলিস্টে) কার্যতালিকায় ছিল। কিন্তু অ্যাটর্নি জেনারেলের পক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতকে জানিয়েছেন, এ আবেদনের শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল নিজেই থাকতে চান। এ কারণে আগামীকাল পর্যন্ত সময় চান। পরে আদালত তাদের আবেদনটি মঞ্জুর করে আগামীকাল পর্যন্ত সময় দেন। পাশাপাশি রাষ্ট্রপক্ষকে এটাও বলা হয়েছে, যেহেতু এ আবেদনটির ফাইল ছয় দিন ধরে পরে আছে এ ব্যাপারে তাদের কোনো বক্তব্য থাকলে তাহলে তা লিখিত আকারে দাখিল করতে।

তিনি বলেন, আমরা আশা করবো আগামীকাল অবশ্যই শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রপক্ষের কোনো আপত্তি থাকবে না। কারণ তার কারাবন্দি এক মাস হয়ে গেছে। শুধুমাত্র একটি বক্তব্য দেয়ার কারণে এক মাস ধরে কারাবন্দি। যদিও সেই বক্তব্যের অনেক কথাই তিনি বলেননি। ইন্টারনেটে গিয়ে আপনারা দেখতে পারবেন সেখানে অনেক কথাই তিনি বলেননি, যা তার বিরুদ্ধে বলা হয়েছে। এটার জন্য কেন একজন মানুষকে এক মাস আটকে রাখতে হবে তা আমাদের বুঝে আসছে না।’

আইনজীবী সূত্রে জানা যায়, এ মামলায় ৬ আগস্ট ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম শহিদুল আলমের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। গত ১৪ আগস্ট ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন করা হলে ১১ সেপ্টেম্বর শুনানির জন্য দিন ধার্য রাখেন। এরপর ১৯ আগস্ট শুনানির তারিখ এগোনোর জন্য আবেদন করা হলে তা গ্রহণ করেননি আদালত। এ অবস্থায় ২৬ আগস্ট শহিদুল আলমের অন্তর্র্বতীকালীন জামিন চাইলে ওই আদালত শুনানির জন্য তা গ্রহণ করেননি। এ অবস্থায় হাইকোর্টে তার জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়।

নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে ‘উস্কানিমূলক মিথ্যা’ প্রচারের অভিযোগে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় ৬ আগস্ট শহিদুল আলমকে সাত দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। এর আগের দিন রাতে ধানমন্ডির বাসা থেকে তাকে তুলে নেয় ডিবি। সাত দিনের রিমান্ড শেষে গত ১২ আগস্ট শহিদুলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন নিম্ন আদালত।

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ০৩, ২০১৮)