স্টাফ রিপোর্টার : সিলেট থেকে ঢাকায় স্বর্ণের বার পৌঁছে দিলেই নগদ ১৪ হাজার টাকা! সাথে যাওয়া-আসাসহ নাস্তা খরচ ফ্রি। ৬ জনের সাথে এমন চুক্তি হয় স্বর্ণ চোরাকারবারীদের। মাত্র ৮৪ হাজারে ৬ কোটি টাকার স্বর্ণের চালান ঢাকার উদ্দেশ্য পাঠানো হয়। তবে ঢাকায় আসার পথে এনা ও গ্রিনলাইন পরিবহনের যাত্রীবাহী বাস থেকে ১২০টি স্বর্ণের বারসহ ওই ছয়জনকে আটক করে র‌্যাব।

আটকরা হলেন- এনা পরিবহনের যাত্রী মো. জামাল হোসেন (২২), মো. তানভীর আহমেদ (২৫), মো. রাজু হোসেন (২৩) এবং গ্রিনলাইন বাসের যাত্রী মো. আবুল হসানা (৩৫), মো. রাজু আহমেদ (৩০) এবং মো. আলাউদ্দিন (৩২)।

রবিবার তাদের আটক করা হয়। র‌্যাব জানায়, আটক ৬ যাত্রীর প্রত্যেকের কাছে ২০টি করে স্বর্ণের বার ছিল। স্বর্ণেরবারগুলোর আনুমানিক মূল্য প্রায় ৬ কোটি টাকা।

সোমবার ঢাকার কারওয়ান বাজারস্থ র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-৩ এর উপ-অধিনায়ক মেজর মো. রাহাত হারুন খান।

তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংদীর পাঁচদোনা এলাকা থেকে রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এনা পরিবহনের বাসে তল্লাশি করে তিন যাত্রীর কাছ থেকে ৬০টি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়। অন্যদিকে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে একই রুটে গ্রিনলাইনের একটি বাসে তল্লাশি চালিয়ে আরও তিনজনের কাছ থেকে ৬০টি স্বর্ণেরবার জব্দ করা হয়।

র‌্যাব-৩-এর উপ-অধিনায়ক বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, আটক ওই ছয় যাত্রী স্বর্ণের বাহক। তাদের প্যান্টের গোপন পকেটে প্রত্যেকের কাছে ২০টি করে মোট ১২০টি স্বর্ণবার ছিল। আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে স্বর্ণ চোরাচালানের সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত। চোরাচালানের মাধ্যমে স্বর্ণের বার তারা দেশের সীমান্ত দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে পাচার করে আসছিল।

বাহক গ্রেফতার হলেও স্বর্ণ চোরাচালানের মূলহোতারা গ্রেফতার হয় না কেন? সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, স্বর্ণের চোরাচালানে মাফিয়ারা টাকায় বাহক ঠিক করে। তাদের মাধ্যমে গন্তব্যে স্বর্ণ আনা-নেয়ার কাজ করে। যে কারণে আড়ালেই থেকে যায় ওরা। তবে আমরা আটকদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে মূলহোতাদের গ্রেফতারে চেষ্টা করছি।

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ০৩, ২০১৮)