দিনাজপুর প্রতিনিধি : দিনাজপুরের ফুলবাড়ীর পার্শ্ববর্তী মধ্যপাড়া পাথরখনির ভূগর্ভ থেকে পাঁচ হাজার ৩২৭ মেট্রিক টন পাথর উত্তোলনের মাধ্যমে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে খনির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জার্মানীয়া ট্রেষ্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি)।

রবিবার (২সেপ্টেম্বর) সকাল সাত টা থেকে গতকাল সোমবার সকাল সাতটা পর্যন্ত ২৪ঘন্টার ব্যবধানে তিন শিফটে উল্লেখিত পরিমাণ পাথর ভূগর্ভ থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।

জিটিসি সূত্রে জানা যায়, বেলারুশিয়ান ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জিটিসি পাথরখনির উৎপাদন ও উন্নয়ন কাজের দায়িত্বভার গ্রহণ করে ২০১৪ ইং সালের ২০ফেব্রুয়ারি থেকে পাথর উত্তোলন কার্যক্রম শুরু করে। সাত মাসের মাথায় জিটিসি তিন শিফট চালুর মাধ্যমে প্রতিদিন গড়ে সাড়ে চার হাজার মেট্রিক টন পাথর উত্তোলন শুরু করে। এরপর থেকে প্রতিমাসে এক লাখ ২০হাজার মেট্রিক টন পাথর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা জিটিসি বিদেশী খনি বিশেষজ্ঞ, দেশী-বিদেশী প্রকৌশলীসহ ৭০০ খনিশ্রমিক কাজ করে যাচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট সকলের প্রচেষ্ঠায় একদিনের পাঁচ হাজার ৩২৭ মেট্রিক টন পাথর উত্তোলন করা সম্ভব হয়েছে। উৎপাদনের এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে লোকসানের মুখে থাকা খনিটি এক সময় লাভজনক খনিতে পরিণত হবে বলে জিটিসি’র সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

উৎপাদন শুরু করে উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রায় ৭ মাসের মাথায় খনি থেকে তিন শিফটে পাথর উত্তোলন শুরু করে। পাথর খনিতে তিন শিফট চালু করে প্রতিদিন পাথর উৎপাদন গড়ে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার টন ছাড়িয়ে যায়। তবে খনির নতুন স্টোপ উন্নয়নসহ বিদেশী যন্ত্রপাতিসহ যন্ত্রাংশের অভাবে প্রায় দুই বছর খনিটির উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ থাকে। এতে ওই সময়ে পুরোপুরিভাবে পাথর উত্তোলন বন্ধ হয়ে যায়। এতে লোকসানের মুখে পড়ে খনিটি।

উল্লেখ্য, তিন শিফটে প্রতিদিন সাড়ে পাঁচ হাজার মেট্রিক টন পাথর উত্তোলনের লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে রেখে গত ২০০৭ সালের ২০মে মধ্যপাড়া পাথরখনিতে বানিজ্যিকভাবে পাথর উত্তোলন শুরু করা হয়। উৎপাদনে যায়। কিন্তু তিন শিফটের স্থলে এক শিফটে প্রতিদিনি ৭০০ থেকে ৮০০ মেট্রিক টন পাথর উত্তোলন করা হয়। এতে খনিটি প্রায় শত কোটি টাকা লোকসানের মুখে পড়ে।

(এসিজি/এসপি/সেপ্টেম্বর ০৩, ২০১৮)