নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর মান্দায় ঘুষের টাকা না দেয়ায় মিটার সংযোগ পাচ্ছেন না উপজেলার পশ্চিম নুরুল্লাবাদ গ্রামের ৬৫ জন গ্রাহক। মান্দা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জুনিয়র প্রকৌশলী আব্দুস সালামের দাবিকৃত ২০ হাজার টাকা না দেয়ায় গত ৫ মাস ধরে তারা চরম হয়রানীর শিকার হচ্ছেন। মঙ্গলবার দুপুরে মান্দা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ওই গ্রামের অর্ধশতাধিক গ্রাহক এসব অভিযোগ করেন।

গ্রাহকদের অভিযোগ, অন্তত: ৫ মাস আগে ওই গ্রামে বিদ্যুতের খুঁটি, তারসহ গ্রাহকদের বাড়ি বাড়ি ড্রপতার টানা হয়েছে। কিন্তু ৫ কেভি’র ৪টি ট্রান্সফর্মার না থাকার অজুহাত দেখিয়ে গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সুবিধা থেকে বঞ্চিত রাখা হয়। ঈদের আগে সংযোগের জন্য সমিতির কার্যালয়ে একাধিকবার ধর্ণা দিয়েও তারা সংযোগ পাননি। পরবর্তীতে মান্দা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জুনিয়র প্রকৌশলী আব্দুস সালাম ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে ৫ কেভি’র ৪টি ট্রান্সফর্মার সরবরাহ করেন।

গ্রাহকরা জানান, মঙ্গলবার সকালে ট্রান্সফর্মার ও গ্রাহকদের বাড়ি বাড়ি মিটার সংযোগ দেয়ার জন্য পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যালয় থেকে লাইনম্যান পাঠানো হয়। লাইনম্যানরা ওই গ্রামে গিয়ে ট্রান্সফর্মার ও মিটার লাগানোর আগেই গ্রাহকদের নিকট ২০ হাজার টাকা দাবি করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ওই গ্রামের গ্রাহক জসিম উদ্দিন দাবি করেন, এ সময় তারা ৫ হাজার টাকা লাইনম্যানদের হাতে তুলে দেন। কিন্তু জুনিয়র প্রকৌশলী আব্দুস সালামের দাবিকৃত ২০ হাজার টাকা না দেয়ায় লাইনম্যানদের কাজ করতে না দিয়ে তাদের অফিসে ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে। জুনিয়র প্রকৌশলী আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও গ্রাহকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে পশ্চিম নুরুল্লাবাদ গ্রামের আফজাল হোসেন, আয়নাল হক, সাইদুর রহমান, আমজাদ হোসেন, আজিজুল ইসলাম, আবুল কালাম, জাহাঙ্গীর আলম, টুটুল হোসেন, মোজাফফর হোসেন, আব্দুর রাজ্জাকসহ অর্ধশতাধিক গ্রাহক উপস্থিত ছিলেন। মান্দা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জুনিয়র প্রকৌশলী আব্দুস সালাম মিটার সংযোগ দেয়ার নামে টাকা দাবির অভিযোগ অস্বীকার করেন। মান্দা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম মিলন কুমার কুন্ডু জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নওগাঁর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম এনামুল হক প্রামানিক জানান, বিষয়টি তদন্তের জন্য মান্দা জোনাল অফিসের ডিজিএম মিলন কুমার কুন্ডুকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। প্রতিবেদন পেলেই জুনিয়র প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(বিএম/এসপি/সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৮)