কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ায় বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ৭ থানায় ১০টি মামলা করেছে পুলিশ। 

এর মধ্যে গত শনিবার (০১ আগষ্ট) থেকে মঙ্গলবার (০৪ আগষ্ট) দিবাগত রাত পর্যন্ত এ মামলা দায়ের করা হয়।

এর মধ্যে শনিবার জেলার সাত থানায় ৭টি মামলা এবং রবিবার করে আরো দুইটি মামলা করে পুলিশ। এবং মঙ্গলবার করে আরো একটি মামলা। এগুলো সবই নাশকতার মামলা। এতে আসামী করা হয়েছে জেলার প্রায় ৪শ বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীকে।

এরমধ্যে কুষ্টিয়া মডেল থানার মামলায় আসামি ২১ জন। মিরপুর থানায় ২৭ জন। দৌলতপুর থানায় দুই মামলায় ৫৫ জন। খোকসা থানায় ৪২ জন। কুমারখালী থানায় দুই মামলায় ৭৭ জন এবং ইবি থানার দুই মামলায় আসামি ৯০ জন। আসামিরা সবাই জেলা ও স্থানীয় বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মী।

আসামি তালিকায় নাম রয়েছে জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শামিম উল হাসান অপু, শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন আহমেদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আব্দুল হাকিম মাসুদ, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর থানার সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বিপ্লব, জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ও পৌর কাউন্সিলর মহিউদ্দীন চৌধুরী মিলন, মিরপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রহমত আলী রব্বান, পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম হোসেন, খোকসা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাফিজ আহমেদ রাজু, কুমারখালী থানা ছাত্রদলের সভাপতি জাকারিয়া মিলন, খোকসা পৌর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি মফিজুর রহমান উজ্জল ও জেলা কৃষকদল নেতা দুলাল। এছাড়াও উপজেলা পর্যায়ে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের নেতাকর্মীদেরও আসামি করা হয়েছে।

কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী বলেন, ১০টি নাশকতা মামলায় ৪ শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। জেলাজুড়ে গণগ্রেফতার চলছে। এভাবে মামলা ও গণগ্রেফতার করে বিএনপিকে দমানো যাবে না।

কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এস এম মেহেদী হাসান বলেন, নাশকতার পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি নেওয়ার গোপন খবর ছিল। এসব অভিযোগে বিভিন্ন থানায় মামলা হয়েছে। এরপর অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হচ্ছে।

(কেকে/এসপি/সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৮)