নওগাঁ প্রতিনিধি : সামাজিক বন বিভাগের রাজশাহীর পাইকবান্দা রেঞ্জের অধীন নওগাঁর পত্নীতলা ও সাপাহার উপজেলার দিবর ও শিতল মৌজার বেশ কিছু জমি কতিপয় দূষ্কৃতকারী জবর দখলের চেষ্টা করলে পাইকবান্দা ও সাপাহার রেঞ্জের কর্মকর্তারা তা প্রতিহত করেন। 

এদিকে পত্নীতলা উপজেলা ভূমি অফিস ও রেজিস্ট্রি অফিসের সীমাহীন দূর্নীতিতে বিপাকে প্রকৃত ভূমি মালিকরা। রেহায় নেই খোদ সরকারী জমি-জমাও। সাধারন মানুষ তাদের জমিজমা রক্ষা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন।

উপজেলার খাস খতিয়ানের প্রায় শতাধিক একর জমি ভূমি অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও দালালদের যোগসাজসে ব্যক্তি মালিকানায় খারিজ করায় বিপাকে পড়েছেন লীজ গ্রহীতারা। ইউনিয়ন ভূমি অফিস গুলোতে বড় অংকের টাকার বিনিময়ে কতিপয় অসাধু ব্যক্তি ও দালাল চক্রের মাধ্যমে অবৈধ খাজনা-খারিজ করে পত্নীতলা সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে হর-হামেশাই অবৈধ জমি রেজিষ্ট্রির কাজ চলছে।

সামাজিক বন বিভাগ রাজশাহীর পাইকবান্দা রেঞ্জ কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট রাজস্ব অফিস ও সাব-রেজিস্ট্রি অফিসকে বহু পূর্ব থেকেই সরকারী বন বিভাগের ভূমির গেজেট নোটিফিকেশনের কপি প্রদান ও পরবর্তিতে পূনরায় বন বিভাগ লিখিত পত্রের মাধ্যমেও সংশ্লিষ্ট দপ্তরে উক্ত গেজেট নোটিফিকেশনের কপি সরবরাহ করলেও ভূয়া কাগজপত্র দিয়ে বন বিভাগের জমি ব্যক্তি মালিকানায় রেজিস্ট্রি বন্ধ হয়নি বলেও বন বিভাগ সূত্র দাবি করেছে।

এ ব্যাপারে পাইকবান্দা রেঞ্জের কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম জানান, বনভূমির রেকর্ড জটিলতার কারনে এ এলাকায় জবর দখলের প্রবনতা বেশী হচ্ছে। তাছাড়া জাল দলিলও এর জন্য দায়ী।

(বিএম/এসপি/সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৮)