ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : ঈশ্বরদীতে নাটকীয় কায়দায়  ব্যাংক থেকে এক গ্রাহকের ৬৭ হাজার ৫’শ টাকা লোপাট হয়েছে। একটি প্রতারক চক্রের দ্বারা বুধবার  সোনালী ব্যাংকের ঈশ্বরদী শাখায় এই লোপাটের ঘটনা ঘটেছে।

ভুক্তভোগী ঈশ্বরদী দলিল লেখক সমিতির সদস্য ইউসুফ আলী হরিণ বলেন, বুধবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে দলিলের রেজিষ্টার খরচ বাবদ সোনালী ব্যাংকে পে-অর্ডারের চালান করার জন্য সহযোগি সাইদুর রহমানকে পাঠানো হয়। তিনি ব্যাংকের ভেতরে টেবিলের উপর টাকাগুলো রেখে চালান লিখছিলেন। এক পর্যায়ে পেছন হতে অপরিচিত এক লোক ইশারা করে বলে আপনার মনে হয় কিছু টাকা মেঝেতে পড়ে গেছে। সাইদুর এ সময় নিচে তাকাতেই টেবিলের সামনে টাকা রাখা টাকাগুলো নিয়ে প্রতারক দ্রুত সটকে পড়ে।

ব্যাংকে সেবা নিতে আসা গ্রাহক হাসান ইমাম জানান, ঘটনাটি যখন ঘটে তখন আমিও ব্যাংকে ছিলাম। ওই লোকটি (ইউসুফ আলী) যখন টাকা জমা দিতে আসেন তখন ওই টেবিলে কেউ ছিল না, সিকিউরিটি গার্ডও ছিল ওয়াশরুমে। অপরিচিত প্রতারক মেঝেতে কিছু টাকা (১০০,৫০,২০,১০) ফেলে কৌশলে লোপাটের ঘটনা ঘটিয়ে পালিয়ে যায়।
ব্যাংকের সিসিটিভি ক্যামেরা অকেজ থাকায় প্রতারককে চিহ্ণিত করা যায়নি। এজন্য উপস্থিত গ্রহকরা কর্তৃপক্ষকে দোষারোপ করছেন । একাধিক গ্রাহক এসময় বলেন, ব্যাংক কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করেছেন।

সোনালী ব্যাংক ঈশ্বরদী শাখার ব্যবস্থাপক (এসপিও) মোঃ আব্দুল কাদির জানান, গ্রাহক সাইদুর রহমান যখন টাকাগুলো টেবিলে রেখে চালান লিখছিলেন। তখন প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে। সিসি ক্যামেরা প্রসংগে তিনি জানান, সরকারী প্রতিষ্ঠান। সিসি ক্যামেরাগুলো কয়েক বছর আগে বসানো হয়েছে। এগুলোর মধ্যে কিছু সচল ও কিছু অকেজো রয়েছে। আমি কম্পিউটার ও সিসি ক্যামেরা সম্পর্কে কিছুই বুঝিনা। তারপরও বিষয়টি শোনার পর ব্যাংকের একজনকে ডেকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজগুলো পরীক্ষা করিয়েছি। সেখানে কিছুই ধরা পড়েনি। তাই প্রতারণার শিকার গ্রাাহককে থানায় অভিযোগ করার পরামর্শ দিয়েছি।

(এসকেকে/এসপি/সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৮)