সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) : মাছ চাষ এখন একটি শিল্প। জাতির পুষ্টির জোগান দিচ্ছে। মাছ চাষ সেবামূলক কাজও। যেখানে স্বাস্থ্য পুষ্টি নেই সেখানে সু-শিক্ষাও থাকবেনা। শতকরা ৬০ ভাগ আমিষ মাছ থেকে আসে। মাছ একটি সার্বজনীন আমিষ।

মাছ চাষের সাফল্য আসলেও দেশে হাওড়ে ৫৪ প্রজাতির মাছ বিলুপ্তির পথে, যে কারণে নতুন প্রজন্মের দেখার জন্য জানার জন্য এবং চেনার জন্য বিলুপ্তি এসব বিভিন্ন প্রজাতির মাছ আমাদেরকে বেশি বেশি করে চাষ করতে হবে। জাপান ইন্টারনেশনাল কো-অপারেশন এজেন্সী (জাইকার) অর্থায়নে উপজেলা পরিচালন ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় আধুনিক পদ্ধতিতে মাছ চাষ ব্যবস্থাপনা ও দক্ষতা বৃদ্ধি করণ বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান কালে প্রশিক্ষকদের মুখ থেকে এসব কথা ওঠে আসে। সিনিয়র উপজেলা মৎস কর্মকর্তার দপ্তর এ প্রশিক্ষনের বাস্তবায়ন করে। মঙ্গলবার থেকে এ প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে।

বুধবার দ্বিতীয় দিন উপজেলা কৃষি প্রশিক্ষণ সম্মেলন কক্ষে এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৪০ জন মাছ চাষী প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করে।

প্রশিক্ষক হিসেবে প্রশিক্ষণ প্রদান কালে সিনিয়র উপজেলা মৎস কর্মকর্তা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন বলেন, দেশীয় প্রজাতির মাছ বিলুপ্তি হওয়ার পিছনে আমাদের আন্তরিকতার অনেক অভাব আছে। আমরা ডিম ওয়ালা মাছ, পোনা মাছ কারেন্ট জাল, মশারি জাল, খনা জাল দিয়ে নিধন করার ফলেই দেশীয় ৫৪ প্রজাতির মাছ প্রায় বিলুপ্তির পথে। এ মাছ রক্ষা করতে হলে আধুনিক পদ্ধতিতে দেশীয় প্রজাতির মাছের বেশি বেশি চাষ করতে হবে। সেই সঙ্গে হাওড়ে যে সব মাছ অবমুক্ত করা হয় সে সব মাছকেও অকালে নিধন করা যাবে না।

প্রশিক্ষনে কেন্দুয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো: মোফাজ্জল হোসেন ভূঞা, উপজেলা জাইকার প্রতিনিধি রেবেকা সুলতানা ও সিনিয়র উপজেলা মৎস দপ্তরের ফিল্ড এ্যাসিস্টেন্ট জসিম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

(এসবি/এসপি/সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৮)