স্টাফ রিপোটার : পাবনা জেলার বেড়া উপজেলার পুরান ভারেঙ্গা ইউনিয়নের জামায়াতের সাবেক নেতা ইমান হাজী  আওয়ামী লীগে যোগদান করলেও অত্র ইউনিয়নের নেই কোন আওয়ামী লীগের কমিটিতে তবুও সে আওয়ামী লীগ নেতা । 

আওয়ামী লীগের কোন সভা সমাবেশ হলেই তাকে দেখা যায় সবার আগে ভিআপি চেয়ারে। আওয়ামী লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে জিরো থেকে হিরো হওয়া ইমান হাজী এখন প্রায় শত শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন । ইমান হাজী এক সময় পাবনা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আইনুল ইসলামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী ছিলেন বলে অনুসন্ধানে জানা যায় ।

২০০০ সালের আগে তার পারিবারিক অবস্থা খুবই করুন ছিল । পিতা ইউসুপ সামান্য একজন মৎস্য জীবি ছিল । ইমান হাজীর ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল । ২০০১ চার দলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় এলে পালটে যায় ইমান হাজীর জীবন । সাবেক শিল্প মন্ত্রী (যুদ্ধাপরাধী মামলায় মৃত্যদন্ড প্রাপ্ত ) নিজামীর ঘনিষ্ট ভাজন হওয়ায় আর পিছনে ফিওে তাকাতে হয়নি ইমান হাজী কে ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেড়া উপজেলা জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশ এর এক নেতার মাধ্যমে জানা যায়, ইমান হাজী ঐ সময় জামায়াতের বিভিন্ন সময় জামায়াতের মিটিং জনসভা ও প্রচার প্রচারণা ও নতুন সদস্য সংগ্রহে করতো বিনিময়ে নগরবাড়ি ঘাটের বিভিন্ন ব্যবসা করে ফায়দা লুটটো ।

বর্তমানে ইমান হাজী হাইব্রিড আওয়ামী লীগ নেতা তাই সার, সিমেন্ট কয়লা সহ সকল ব্যবসা তার নিয়ন্ত্রণে। এরপর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে আওয়ামী লীগের কিছু নেতার ছত্র-ছায়ায় নগরবাড়ী ঘাটের সকল ব্যবস্যা প্রতিষ্ঠানে তার নিয়ন্ত্রণে চলে আসে । খুব অল্প সময়ের মধ্যে শত শত কোটি টাকার মানুষ হওয়া ইমান হাজীর নগরবাড়ি ঘাটে চারটির তিন/চার তলা ভবন, বিলাস বহল বাড়ি, নগরবাড়ি ঘাটে গুরত্বপূর্ণ স্থানে কোটি টাকার জমি ও বিপুল পরিমান সম্পদ রয়েছে বলে অনুসন্ধানে জানা যায় ।

ইমান হাজীর কারণে অনেক আওয়ামী লীগ ত্যাগী নেতাই এখন দলীয় বড় বড় অনুষ্ঠানে দাওয়াত পায় না বলে পুরান ভারেঙ্গা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা নাম প্রকাশ না শর্তে এই প্রতিবেদক কে জানান ।

তারা জামায়াতের এই কুখ্যাত নেতা অবিলম্বে আওয়ামী লীগ থেকে বহিস্কারের দাবি জানান এবং অতীত অপকর্মের বিচার দাবি করেন । দ্রুতগতিতে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হওয়ার বিষয়টি দূর্নীতি দমন কমিশনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ।

(পিএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১৮)