প্রবাস ডেস্ক : আয়ারল্যান্ডে বসবাসরত বাংলাদেশের সুপরিচিত বিশ্বজিৎ সাহা তনুকে ফরিদপুরে হয়রানি করায় তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন করেছেন আয়ারল্যান্ড হিন্দু বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। 

সম্প্রতি বিশ্বজিৎ সাহা তনু বাংলাদেশে ভগবান শ্রী কৃষ্ণের জন্মাষ্টমী পালনে বাংলাদেশে উনার দেশের বাড়ি ফরিদপুরে যান। জন্মাষ্টমীর দিন (২ আগষ্ট) স্মরণকালের রেকর্ড সংখ্যক পদযাত্রায় বিশ্বজিৎ সাহা তনু প্রতি বছরের মতো হাতির পিঠে চড়ে ফরিদপুর শহর প্রদক্ষিণ করেন। ২ আগষ্ট ফরিদপুর সদরে হাতির পিঠে চড়ে বিশ্বজিৎ জ্ন্মাষ্টমীর সভার প্রধান অতিথী হিসাবে উপস্থিত থাকা বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের গৃহায়ণ ও গণপুর্ত মন্ত্রীকে অর্ভ্যথনা জানান । যা মাননীয় মন্ত্রী হাতির পিঠে চড়াকে ঔদ্যত্ত হিসাবে দেখেন । বাংলাদেশের একজন সংখ্যালঘুর হাতির পিঠে চড়াকে মাননীয় মন্ত্রী রেগে গিয়ে পুলিশকে নির্দেশ দেন বিশ্বজিৎ সাহা তনুকে গ্রেফতার করতে।

অতপর পুলিশ বিশ্বজিৎ সাহা তনুকে তার নিবাস থেকে গ্রেফতার করে এবং সারাদিন জেলে রেখে পরেরদিন তাকে থানা থেকে ছেড়ে দেয়া হয় কিন্তু তাকে ছেড়ে দেয়ার আগে মুচলেকা এবং সাদা কাগজে লিখিত নেয়া হয় যাতে বিশ্বজিৎ কোন মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে কোন প্রকারের যোগাযোগ না করতে পারেন।

এই ঘটনায় ফরিদপুরের সনাতনীসহ সকল জনমতের মধ্যে রোষ তৈরী হয় এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংখ্যালঘুর বিরুদ্ধে এই নেক্কারজনক এবং বিদ্বেষমুলক আচরনের খবর আমরা জানতে পারি।

ফরিদপুরের সংসদ সদস্য এবং প্রভাবশালী মন্ত্রীর সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে এইরকমের ভয়ানক বিদ্বেষ দেখানো নতুন নয়। এর আগেও এই মন্ত্রী বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শ্রী রানা দাশগুপ্তের চোখ তুলে নেবার হুমকি দেন জনসমাবেশে! এছাড়া এই মন্ত্রীই বিখ্যাত সাংবাদিক প্রবীর শিকদারকে জেলে পাঠিয়েছিলেন এবং মুক্তিযোদ্ধা মানস মুখার্জীকে জেলে পাঠিয়েছিলেন।

আমরা জানতে চাই, সংসদ সদস্য এবং মন্ত্রিত্ব উভয় পদে থাকা একজন মাননিয় মন্ত্রীর সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে প্রচন্ড বিদ্বেষ কেন তা বাংলাদেশের মুক্তিযু্দ্ধে বিশ্বাসীরা জানতে চায়! যে ব্যক্তি জনগণের ভোটেই নির্বাচিত সে একজন জনপ্রতিনিধি, কি করে এই মন্ত্রী জনগণের বিরুদ্ধে ধর্ম বিদ্বেষ তৈরী করেন?

আমরা বাংলাদেশ সরকার প্রধান জাতির জনকের কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এই বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষন করছি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চাই এটা কি জাতির জনকের ধর্মনিরপক্ষ সোনার বাংলা সংখ্যালঘুরা বাস করছে ?

(পিআর/এসপি/সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১৮)